ঢাকাবুধবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টানা মন্দাভাব কাটিয়ে আবারো চাঙা হতে শুরু করেছে শেয়ারবাজার।

অর্থনীতি ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪ ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

টানা প্রায় দেড় বছরের মন্দাভাব কাটিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আবারো চাঙা হতে শুরু করেছে দেশের শেয়ারবাজার। মূলত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পরপর শেয়ারবাজারে আবার ইতিবাচক ধারা শুরু হয়। তবে হোঁচট খায় কয়েকদিনের মধ্যেই।

২১ জানুয়ারি ৩৫টি বাদে বাকি সব কোম্পানির সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোরপ্রাইস তুলে দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি। লেনদেনের পরিমান বাড়াতে দুদিন পর আরো ২৩টি কোম্পানির ফ্লোর তুলে দেয়া হয়। এরপর থেকে লেনদেন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়লেও আবারো বড় দরপতন শুরু হয় শেয়ারবাজারে। অনেকগুলো কোম্পানির শেয়ারদর কমে যায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। চারদিনের দরপতনেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই’র সূচক কমে ২৪০ পয়েন্ট।

অবশ্য ৩০ জানুয়ারি থেকে শেয়ারবাজার আবারো ঘুরতে শুরু করে। একটানা গত ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সূচক ও লেনদেন বেড়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইতে। গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসের প্রতিদিনই লেনদেন হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকার, যা প্রায় সাড়ে ১৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত রোববার একদিনেই ডিএসই’র প্রধান সূচক-ডিএসইএক্স বেড়েছে ৭৪ পয়েন্ট। ফলে সূচকটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্ট -যা গত ১৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সাম্প্রতিক সূচক ও লেনদেন বাড়ার পেছনে ব্যাংক খাতের শেয়ারের একটি বড় অবদান রয়েছে। দীর্ঘদিন ফ্লোরপ্রাইসে পড়ে থাকা ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। এই খাতে বড় বিনিয়োগও এসেছে। টানা দাম বাড়ার পর গত তিনদিন কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে ডিএসইতে। ফলে বেশিরভাগ শেয়ারের দামও কিছুটা কমেছে।

শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি। সাম্প্রতিক শেয়ারবাজার নিয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘শেয়ারবাজারে অনেক বিনিয়োগকারী দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড বা বেচাকেনা করেন। তাদের জন্য এই বাজার আসলে খুব একটা লাভজনক নয়। যারা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করবেন এবং ধৈর্য্য ধরতে পারবেন, তারা শেয়ারবাজার থেকে নিশ্চিত মুনাফা করতে পারবেন। এটি আসলে পুরোটাই ধৈর্য্যরে খেলা।’

ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা এবং আবার তা তুলে দেয়ার প্রসঙ্গে ওইসময় বিএসইসি চেয়ারম্যান বলছিলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছিল বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য। কিন্তু বছরের পর বছর ফ্লোর প্রাইস দিয়ে রাখা কোন নিয়মের মধ্যে পড়ে না। তাই ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার পর কিছু শেয়ারের দাম কমাটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ অনেক শেয়ার অতিমূল্যায়িত অবস্থায় ছিলো। এমন অবস্থায় সাধারণত প্রথমদিকে মূল্য সংশোধন হয়। তবে বাজার ভালো থাকলে সেটি আবার উঠে যায়। এজন্য বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে।’

বিএসইসি চেয়ারম্যানের কথার প্রতিফলন অবশ্য তার পরের কয়েকটি দিনে দেখতে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। দরপতন হওয়া অনেক শেয়ারের দামই আবার অনেকটা আগের অবস্থায় ফিরে যায় গত রোববার পর্যন্ত। অবশ্য সোমবার থেকে আবার মূল্য সংশোধন হওয়া শুরু হয়েছে। টানা তিনদিন ধরে দরপতন হচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। বুধবার ডিএসই’র প্রধান সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারের দাম।

এ প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতা ডা. মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘সম্প্রতি বেস্ট হোল্ডিংস নামের একটি কোম্পানি বাজারে আসার পর এই শেয়ারটি বিপুল সংখ্যক বিনিয়োগকারী কিনেছেন। অনেকে অন্য শেয়ার ছেড়ে এই শেয়ারটিতে ঢুকেছেন। ওই শেয়াারগুলোর বিক্রির চাপ থাকায় কিছুটা দরপতন হয়েছে। আবার অনেকে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা নিয়েছেন। এটি সাময়িক দরপতন। আবার দ্রতই শেয়ারবাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরবে। ফিরতে বাধ্য। কারণ বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া অনেক নতুন বিনিয়োগকারী সম্প্রতি আবার বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে বিদেশী বিনিয়োগকারীও আছে। কাজেই সাময়িক এই মূল্য সংশোধন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ’

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন শুরু হলে ২০২২ সালের ২৮শে জুলাই শেয়ারের দামের ওপর ফ্লোরপ্রাইস বেধে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসি। এরপর থেকে শেয়ারের দাম আর কমার সুযোগ না থাকলেও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন কমে গিয়ে বাজারে স্থবিরতা তৈরী হয়। সেই স্থবিরতা অনেকটাই কেটেছে চলতি বছরের শুরু থেকে। বিশেষ করে জানুয়ারির শেষ দিকে ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়ার পর। বাজার সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, মাঝেমধ্যে মূল্য সংশোধন হলেও চলতি বছরটা ভালোই যাবে দেশের শেয়ারবাজারের জন্য।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।