সিরিয়া ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করতে তেহরানে পৌঁছেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সেখানে তারা ইরানের শীর্ষ নেতাদের সাথেও সাক্ষাত করবেন।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সিরিয়া ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতেই এই তিন নেতার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে একই সঙ্গে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের শস্য সংকট এবং কৃষ্ণ সাগর দিয়ে পুনরায় ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির বিষয়েও আলোচনা করবেন তারা।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনে ২ কোটি টন শস্য রপ্তানি এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় আটকে থাকা রাশিয়ার শস্য ও সারের বিষয়ে চুক্তি করা হবে। এক্ষেত্রে, কৃষ্ণসাগর দিয়ে পণ্য রপ্তানির জন্য ইস্তাম্বুলে একটি সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হবে।
পুতিনের এ সফরের বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ আরো জানান, খামেনির সঙ্গে যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক এজেন্ডার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে তাদের মধ্যে একটি বিশ্বস্ত সংলাপ গড়ে উঠেছে। বেশিরভাগ ইস্যুতে আমাদের অবস্থান কাছাকাছি বা অভিন্ন।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর প্রথম বড় এই বিদেশ সফরের জন্য ইরান যাওয়ার মাধ্যমে পুতিন পশ্চিমের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাচ্ছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু ইরানের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে রাশিয়া।
পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া ও ইরান দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অধীন ছিল। ফলে পুতিনের রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা তেহরানের জন্য আরব শাসক ও ইসরায়েলের সাথে উপসাগরজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার জোটের বিরুদ্ধে ভারসাম্য বজায় রাখার একটি উপায়।
পুতিনের সফরের ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, আমাদের একটি শক্তিশালী মিত্র দরকার এবং মস্কো একটি পরাশক্তি।
সিরিয়ায় যুদ্ধের অবসানে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে ২০১৭ সাল থেকে তিন দেশের নেতারা সভা করে আসছেন।