ঢাকারবিবার , ২০ জুন ২০২১
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দু‌র্ভো‌গের জন্য ঠিকাদার প্র‌তিষ্ঠান‌কে দুষ‌লেন সেতু স‌চিব।

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২০, ২০২১ ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

যানজট নিরসনে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে রাজধানীর বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে বিশেষায়িত উড়াল সড়ক। দ্রুত গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করার এ প্রকল্পের নাম বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। ৯ বছর ধরে চলছে এর নির্মাণকাজ। যন্ত্রণা কমানোর প্রকল্পটির নির্মাণকাজে দায়িত্বহীনতা এখন মানুষের দুর্ভোগ-যন্ত্রণা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

বর্ষার শুরুতেই সেই যন্ত্রণা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আগে থেকেই সড়কে খানাখন্দ ছিল, এখন তা আরও বেড়েছে। বৃষ্টি হলেই সড়ক ডুবছে। ১২ কিলোমিটার পথ যেতে লাগছে ১০ ঘণ্টা।

সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক গতকাল শনিবার মহাসড়কটি পরিদর্শন করেছেন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর্থিক সংকটে থাকার কারণে বিআরটি প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে। যে কারণে মহাসড়কে চলাচলরতদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দুপুরে মহাসড়কের চেরাগআলী এলাকায় খানাখন্দে ভরা মহাসড়ক পরিদর্শন করে এমন দাবি করেন সেতু বিভাগের সচিব।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে মহাসড়ক যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় লোকবল বাড়ানো হবে। এ বিষয়ে ঠিকাদারদের বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর সড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামও মহাসড়ক পরিদর্শন করেন।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বৃষ্টি আর বিআরটি প্রকল্পের খামখেয়ালী কাজের কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পোহাচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর বিআরটি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করতে যান সড়ক ও সেতু বিভাগের দুই সচিব। এসময় তাদের সঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), সেতু কর্তৃপক্ষ আর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলে বিআরটি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। চার বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের সময় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ব্যয়ও বেড়েছে দ্বিগুণ। ৯ বছরে কাজ হয়েছে অর্ধেক। বাকি কাজ এক বছরে (আগামী জুন) শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বিআরটি বাস্তবায়নের করুণ দশা এবং তাতে চরম জনদুর্ভোগ তৈরি হওয়ায় মন্ত্রী ও সচিব বিব্রত। ধীরগতির কাজ ও ভোগান্তির জন্য চীনা ঠিকাদারদের দায়ী করছেন কর্মকর্তারা। তারা বলেন, বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্ভোগ এড়াতে নির্মাণ এলাকার রাস্তা নিয়মিত মেরামতের মাধ্যমে সচল রাখার কাজ করেনি। আগে থেকেই অবস্থা খারাপ ছিল। বর্ষায় পরিস্থিতি অসহনীয় হয়েছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল একই অভিযোগ করেছেন। সড়কের ভোগান্তি এড়াতে জয়দেবপুর-ঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেন চালু করা হচ্ছে বলে তিনি গত বুধবার জানান। আজ থেকে এই ট্রেন চালু হওয়ার কথা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।