ধর্ষণ মামলায় পুলিশের এক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮–এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভিন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম। তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলায় আজ আসামি এসআই শরিফুল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
আদালত শুনানি নিয়ে তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, এক নারী রাজধানীতে বসবাস করেন।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে মুঠোফোনে পুলিশ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।
শরিফুল নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দেন এবং তিনি অবিবাহিত বলে দাবি করেন।
পরে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়। নারীর অভিযোগ, শরিফুল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন।
ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আসামির কথামতো ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গর্ভপাত করান।
পরে ওই নারী জানতে পারেন, শরিফুল বিবাহিত। ওই নারীকে বিয়ে করতেও অস্বীকৃতি জানান শরিফুল।
অভিযোগে আরও জানা যায়, এই ঘটনায় গত বছরের ১০ এপ্রিল শরিফুলের বিরুদ্ধে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই নারী।
আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
পরে মামলার বাদী ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি জমা দেন।
আদালত মামলাটি পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেন।
সিআইডি তদন্ত করে গত ৯ আগস্ট শরিফুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আদালত ওই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে শরিফুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
