নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ জুন) দেশটির ওন্ডো রাজ্যের একটি ক্যাথলিক গির্জায় সাপ্তাহিক প্রার্থনায় সমবেতদের ওপর গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। এতে শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়েছে।
নাইজেরিয়ার পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতা ওগুনমোলাসুয়ি ওলুওলে জানিয়েছেন, সেইন্ট ফ্রান্সিস ক্যাথলিক চার্চে প্রার্থনার সময় প্রার্থনাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। ওন্ডো রাজ্যের পুলিশের মুখপাত্র ফানমিলায়ো ইবুকুন ওদুনলামিও বন্দুক হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। ওই এলাকা অতিক্রমের সময় তিনি বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শুনেছেন বলেও দাবি তার। ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও দাবি করেছেন, চার্চের আঙিনায় তিনি অন্তত পাঁচ বন্ধুকধারীকে দেখেছিলেন।
আইনপ্রণেতা ওগুনমোলাসুয়ি ওলুওলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে কয়েকটি শিশুও রয়েছে। এছাড়া অনেকেই আহত হয়েছেন। তাদেরকে রাজ্যের ওয়ো শহরের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে এ হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। বন্দুকধারীদের ‘শয়তান’ অভিহিত করে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বুহারি বলেছেন, শুধুমাত্র উত্তরাঞ্চলের শয়তানরাই এমন জঘন্য কাজ করতে পারে। তবে শয়তান বলতে তিনি ঠিক কাদেরকে বুঝিয়েছেন তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
চার্চ হামলাকে ‘জঘন্য ও শয়তানি’ অভিহিত করেছেন ওন্ডো রাজ্যের গভর্নর আরাকুনরিন ওলুওয়ারোতিমি আকেরেদোলুও। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, যেকোনো উপায়েই হোক হামলাকারীদের আটক করা হবে এবং এ হামলার ক্ষতিপূরণে বাধ্য করা হবে।
তাৎক্ষণিকভাবে হামলার কারণ জানা যায়নি। কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা অন্য কেউ এখন পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি। নাইজেরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের তৎপরতা রয়েছে। বেশিরভাগ অঞ্চলে নিরাপত্তা রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার। তবে ওন্ডো রাজ্য অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ।