ঢাকামঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পরমাণু অস্ত্রে শান দেয়ার নির্দেশ দিলেন পুতিন।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মে ৭, ২০২৪ ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখন পর্যন্ত যতো সংঘাত হয়েছে, তারমধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী সংঘাত হলো- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে, ইউক্রেন পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে। বিষয়টি এখন অকপটে বলে বেড়াচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। তারপরও পশ্চিমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। চাইছেন আরও বেশি বেশি সামরিক সহায়তা।

এরপরই আবারও দৃশ্যপটে হাজির ন্যাটো সদস্য ও ইউরোপের অন্যতম সামরিক শক্তির দেশ ফ্রান্স। কোনো সহায়তা নয়, রুশদের সঙ্গে লড়তে চাইছে ফরাসি সেনারা। তাও আবার নিজেদের নয়, ইউক্রেনের মাটিতে। সেই মতে, সরকারিভাবে ফ্রান্স প্রথম ইউক্রেনে সেনা পাঠাল। এই সেনারা ফ্রান্সের পদাতিক রেজিমেন্টের সদস্য। ফ্রান্সের ফরেন লিজিয়ন বা বিদেশিদের নিয়ে গঠিত সেনা ইউনিটের মূল অংশ তারা।

এমন পদক্ষেপের আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো একবারও ভাবেননি যে, তিনি ভিমরুলের চাকে ঢিল ছুড়েছেন। ভুলে গিয়েছিলেন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের কথা। কিছুদিন আগেই জব্দ করা ন্যাটোর সমরাস্ত্রের প্রদর্শনী করেছেন মস্কো। আর ফ্রান্স সেনা পাঠানোর পরই সীমান্ত এলাকায় পরমাণু অস্ত্রের মহড়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন পুতিনি।

রাশিয়ার মহড়ার লক্ষ্য হচ্ছে, ‘অ-কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুত ও মোতায়েনের ব্যবহারিক দিকগুলো’ নিশ্চিত করা। সামরিক বাহিনী মহড়ার কারণ হিসেবে ‘কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তার রাশিয়ার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য ও হুমকির কথা উল্লেখ করা হয়। ইউক্রেন মিত্র এবং পশ্চিমাদের কাছে এমন হুমকির প্রতিক্রিয়া হিসেবে পারমাণবিক মহড়ারা ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন।

মস্কোর কাছে দূরপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে ছোট পাল্লার কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে পুতিনসহ রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হলে, দেশটির পরমাণু মতবাদ এসব অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়। পুতিনের এমন পদক্ষেপের পর নড়েচড়ে বসেছে ফ্রান্সসহ ন্যাটোর দেশগুলো।

রাশিয়াকে থামানোর কথা বলে সেনা পাঠানোর পর ভুলটা এখন হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন ম্যাঁক্রো। তিনি এটাও ভুলে গিয়েছিলেন যে, ইউক্রেনে ফরাসির সেনার পাঠানোর পর, রাশিয়ারও ইউক্রেনের বাইরে গিয়ে অন্য দেশে হামলার বৈধতা এনে দিতে পারে। এমনটি হলে, তা কি মেনে নেবে ন্যাটো। কারণে এই সামরিক জোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে এড়িয়ে যাবার নীতিতেই রয়েছে।

বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে ঘটনা যে কোন সময়ে যে কোন দিকে মোড় নিতে পারে। কিন্তু ইউক্রেনে ফ্রান্স সেনা পাঠাক, সেটা রাশিয়া খুব বেশি দিন সহ্য করবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে ফ্রান্স যদি রাশিয়ার সাথে লড়তে আসে, তবে ছেড়ে কথা বলবেন না পুতিন। এটা বুঝতে পেরে, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর খবরের সত্যতা নাকচ করে দিয়েছে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।