পরিচয় গোপন করে কোনো নারীকে বিয়ে করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজা ভোগ করতে হবে। শুধু তা–ই নয়, বিয়ে, পদোন্নতি কিংবা চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনো নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে তার সর্বোচ্চ সাজাও হবে ১০ বছরের জেল। দেশের নারীসমাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার একগুচ্ছ নতুন আইন আনতে চলেছে। এটি তারই একটি।
গতকাল শুক্রবার ভারতীয় সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় ‘ভারতীয় দণ্ডবিধি’–র নাম পরিবর্তন করে ‘ভারতীয় ন্যায়সংহিতা’ রাখার প্রস্তাবসহ একাধিক নতুন আইন আনার কথা জানান।
দেশের আইনব্যবস্থার খোলনলচে বদলানোর তাগিদে আনা নতুন বিলে নারীদের যৌন নিগ্রহ রুখতে বেশ কিছু নতুন ধারা সংযোজিত হয়েছে।
তিনটি বিলই অবশ্য আরও বিশদ পর্যালোচনার জন্য সংসদের স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সংসর্গের বিষয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা ছিল না। সরকার এখন যে নতুন আইন আনতে চাইছে, তাতে এই বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনে ‘প্রতারণার’ মাধ্যমে বিয়ে, চাকরি, পদোন্নতির পাশাপাশি পরিচয় গোপন করে বিয়েও অন্তর্ভুক্ত হবে। সর্বোচ্চ সাজা হবে ১০ বছরের কারাবাস।
পরিচয় গোপন করে বিয়ে করার বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। মামলার সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন রাজ্যে ‘লাভ জিহাদ’-এর ঘটনা যত বাড়ছে, সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে পরিচয় গোপন করে বিয়ে। শাসক দলের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মুসলমান পুরুষদের পরিচয় গোপন করে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করতে দেখা যায়। তারপর ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হয়। নতুন আইন এই প্রবণতা কমাবে বলে মনে করা হচ্ছে।