সাউথ কোরিয়ার সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি-পিপিপিকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে উদারপন্থী বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি-ডিপিকে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময় পেঁয়াজের দাম নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পরাজিত হলো ক্ষমতাসীন দল পিপিপি এর।
বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গত বুধবার সাউথ কোরিয়ার জাতীয় নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায় ছোট কয়েকটি দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশটির বিরোধী দল দ্য ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপিকে) পার্লামেন্টের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৯২টি আসন পেয়েছে। নির্বাচনে বিজয়ী দল ডিপিকে ও ক্ষমতাসীন দল পিপিপি উভয়েই নিজেদের প্রতি সমর্থন ভারী করতে ছোট ছোট দলকে তাদের সঙ্গে ভেড়ানোর চেষ্টা করেছে। তারা এসব দলকে কিছু আসন ছেড়েও দিয়েছে। তবে এতে সুবিধা করতে পারেনি ক্ষমতাসীনরা।
সাউথ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল ও তার দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) জন্য এটি একটি বিপর্যয়কর পরাজয়। কারণ, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনসভায় বিভিন্ন আইন পাসের চেষ্টা করেছে। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি।
মুদ্রাস্ফীতিসহ নানা কারণে আলোচিত ছিলো পিপিপি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল একটি খাদ্যপণ্যের বাজার পরিদর্শনে যান। ওই সময় স্প্রিং ওনিয়ন (বসন্তকালীন পেঁয়াজ) এর দাম এতটা রিজনেবল বা যৌক্তিক দেখে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছিলেন, ১ প্যাকেট বা ১ আঁটি সবুজ পেঁয়াজের দাম ৮৭৫ ওন (সাউথ কোরিয়ার মুদ্রা) হওয়াটা কি যুক্তিসঙ্গত?
৮৭৫ সাউথ কোরিয়ান ওন বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭১ টাকার মতো। ওই সময় পণ্যটি ছাড় দিয়ে এই দামে বিক্রি করা হচ্ছিল। ভর্তুকির কারণে ওই ছাড়টুকু দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। নইলে, ৩ থেকে ৪ হাজার ওনের মতো খরচ করতে হতো ভোক্তাদের। এমন পরিস্থিতিতে তার মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিরোধী দল ডিপিকে’র নির্বাচনি সমাবেশেও পেঁয়াজকে ‘প্রপস্’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তখন একজন বিরোধী দলীয় নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, স্প্রিং ওনিয়নই প্রেসিডেন্টকে ধরাশায়ী করবে।