ঢাকাবুধবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ ৬:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের লক্ষ্যে জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপের প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

বাণিজ্য সচিব বলেন, জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতের দেশ এবং এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। উভয় দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও জাপানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা জাপানে পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছি এবং আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাবো। গতবছর জাপানে রফতানির প্রবৃদ্ধি ছিলো ৪৫ শতাংশ যা যেকোনো উন্নত দেশের চেয়ে বেশি। উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন।

চূড়ান্তভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু এমন প্রশ্নের উত্তরে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এই প্রতিবেদন প্রকাশ মানেই শেষ নয়। চূড়ান্ত রূপ দেয়ার লক্ষ্যেই দুই দেশ যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার বিষয়ে ঘোষণা দেয় এবং তিন রাউন্ডের সভা শেষে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন যা আজকে প্রকাশ করা হলো। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারি ২০২৬ সালের মধ্যে উভয় দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

এর আগে দেয়া বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের পজিটিভ ইমেজ বিল্ডিং এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে। যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রফতানিকালে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো অন্যতম।

তিনি জানান, বাংলাদেশের এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরইমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জাপান সফরকালে উভয়দেশ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কে-কে Strategic Partnership হিসেবে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই প্রেক্ষিতে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়। পরে জাপানের বাণিজ্য মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালেও আর একটি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়।

এসময়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাপানের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।