নড়াইলে লোহাগড়ায় হতদরিদ্র পরিবারের কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দুঃসম্পর্কের মামা রেজাউল। এরপর বিয়ের প্রলোভনে একটি ভাড়া বাসায় আটকে রেখে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে রেজাউল ও তার বন্ধু বিপ্লব। সে দৃশ্য গোপনে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টানা ১০ দিন একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।
গত ১৮ মে কৌশলে পালিয়ে এসে স্বজনদের জানায় কিশোরী। ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে পরিবারটি।
কান্না জড়িত কণ্ঠে আয়শার স্বজনরা বলেন, আমরা গরিব মানুষ। এর সুষ্ঠু বিচার চাই আর কিছু না।
পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় কথিত প্রেমিকের বন্ধু বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত বিপ্লবকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, ভিকটিমের সঙ্গে আমি নিজে কথা বলেছি। অন্যান্য আসামি ধরাসহ আমাদের আইনগত যা ব্যবস্থা আছে, তা চলমান আছে।
জেলা সদর হাসপাতালে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করার কথা জানান চিকিৎসক। নড়াইল আধুনিক সদর হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আ ফ ম মুশিউর রহমান বলেন, তার বয়স নির্ধারণসহ ধর্ষণজনিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাকিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানায় পুলিশ।
