একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক, ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তোয়াব খানের দাফন সম্পন্ন। সোমবার (৩ অক্টোবর) বাদ আসর গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে (আজাদ মসজিদ) তৃতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মেয়ে এশা খানের কবরে তাকে দাফন করা হয়।
গত শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন প্রথিতযশা সাংবাদিক তোয়াব খান।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বড় মেয়ে তানিয়া খান দেশে ফেরার পর সোমবার এই সাংবাদিককে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়। তেজগাঁওয়ের দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা শেষে প্রথিতযশা সাংবাদিককে নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদমিনারে। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। এরপর মরদেহ নেয়া হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবে। সেখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে হয় জানাজা।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, সাংবাদিক, সাধারণ মানুষ তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অগ্রজ এ সাংবাদিককে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তোয়াব খান। সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন রয়েছে তার। ২০১৬ সালে একুশে পদক পান তোয়াব খান। একই বছর তাকে সম্মানিত ফেলো নির্বাচন করে বাংলা একাডেমি।