কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বাড়ছে। এতে রোগমুক্তির চেয়ে দেখা দিচ্ছে মৃত্যুঝুঁকি। অনেক ফার্মেসিতে নেই ফার্মাসিষ্ট।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ওষুধের বৃহত্তম মোকাম। এখান থেকে পাশ্ববর্তী কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, আশুগঞ্জ, মিটামইন, ইটনা, রায়পুরা, বেলাব ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ঔষধ সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন অন্তত ২ কোটি টাকার খুচরা ও পাইকারি ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। এ সুবাদে উপজেলায় গড়ে উঠেছে ২ শতাধিক ফার্মেসী। এদের অধিকাংশেরই নেই ফার্মাসিষ্ট ও লাইসেন্স। নামি-বেনামি কোম্পানীর মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল ও নকল ওষুধও বিক্রি হচ্ছে এসব ফার্মেসীতে।
এতে রোগমুক্তির চেয়ে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি। এনিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ করলেন স্থানীয়রা। উপজেলা ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতি নেতারাও ক্ষোভ জানালেন মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে। অভিযোগ তুললেন অনেক ফার্মেসীতে ফার্মাসিষ্ট না থাকার।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসাইন জানালেন ভেজাল ওষুধ ও লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসীর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা।