ঢাকামঙ্গলবার , ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মূল ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে পিপিপি, বিলওয়াল চাইছেন প্রধানমন্ত্রী হতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪ ২:১৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

গত বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে। তারা দল গঠন করে নাকি কোনো কোনো দলে যোগ দিয়ে বা কোনোভাবে কারো সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা, বিতর্ক।

এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিএমএলএন একক দল হিসেবে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন জিতেছে। তবে তা সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এই সুযোগে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসসন পাওয়া পিপিপির নেতা বিলওয়াল জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য দরকষাকষি করছে বলে জানা যাচ্ছে সর্বশেষ খবরে।

আরেকদিকে নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও নির্বাচনের ফল বদলে দেয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ নির্বাচনে কারচুপি ও ভোট চুরির জন্যই নির্বাচনের দিন মোবাইল ফোন বন্ধ রাখা হয় এবং ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব করা হয়।

পাকিস্তানে সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলকে ১৬৯টি আসন পেতে হবে। সে দেশের পার্লামেন্টের মোট আসন সংখ্যা ৩৩৬। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সংসদীয় কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পর পাকিস্তানের নিম্নকক্ষ আইনসভা, বা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন আহ্বান করবেন প্রেসিডেন্ট। তবে সাধারণভাবে তা আরও আগে হয়ে থাকে।

অধিবেশনে স্পিকার নির্বাচন হবেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর জন্যই ১৬৯ জন নির্বাচিত সদস্যের সমর্থন লাগবে।

যদি কেউ এই পরিমাণ ভোট না পায়, তাহলে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুজনের মধ্যে ভোটাভুটি হবে। এভাবে একজন পাওয়ার আগ পর্যন্ত তা চলতে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করবে। তারপর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নবনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।

এরপর দলগুলোর প্রাপ্ত আসনের সমানুপাতিক ভিত্তিতে সংরক্ষিত ৭০ আসন বরাদ্দ করা হবে। এর মধ্যে ৬০টি নারীদের জন্য এবং ১০টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সমূহের প্রতিনিধিদের জন্য। তবে সংরক্ষিত কোনো আসন স্বতন্ত্রদের জন্য। সেখানেই বিপদ হয়ে গেছে ইমরানের সমর্থিত জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। যদি স্বতন্ত্ররা সংরক্ষিতদের ভাগ পেতে চায়, তাদের কোনো দলে যোগ দিয়ে ব্লক তৈরি করতে হবে।

চূড়ান্ত ফলে দেখা যাচ্ছে- সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে ইমরানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। ৯৫টি আসন পেয়েছে তারা। এরপরেই রয়েছে বিলওয়ালের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি। তারা পেয়েছে ৫৪ আসন। নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-পিএমএলএন দল হিসেবে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৭৫টি আসন পেয়েছে। অন্যান্যরা পেয়েছে বাকি ৪০টি আসন।

পিএমএলএন এবং পিপিপি উভয় দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে।

পিএমএলএন-এর একজন নেতা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উভয় দলই জোট গঠনের ব্যাপারে সম্মত হলেও এখনও ফলপ্রসূ কোনো অগ্রগতি হয়নি। দুদলই প্রধানমন্ত্রী চাইছে।

পিএমএলএন অবশ্য খোলাসা করেনি তাদের প্রধানমন্ত্রীকে হবে। তবে তারা হয় নওয়াজ শরীফ বা তার ভাই শাহবাজ শরীফের মধ্যে একজনকে বেছে নেবে বলা যায়।

আর পিপিপির নেতা ফয়সল করিম কুন্দি বলেছেন আমাদের দল চায় বিলওয়াল প্রধানমন্ত্রী হোক।

পিপিপি জানে তাদের ছাড়া কারো পক্ষেই সরকার গঠন করা সম্ভব হবে না।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে ইমরান খানের দলের পক্ষে সরকার গঠন বেশ কঠিনই হবে। কেননা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে ব্লক গঠনের জন্য কোনো দল পাওয়া তাদের জন্য কঠিন হবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।