ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে সতর্ক করেছেন যে,
অটোয়া-দিল্লি কূটনৈতিক বিরোধের কারণে কিছু সময়ের
জন্য ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ হতে পারে।
তিনি তার টিমকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভারতীয়
কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ সীমিত করার পরামর্শ
দিয়েছেন বলে মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকোর
এক খবরে এ দাবি করা হয়েছে।
যদিও এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন
মুখপাত্র বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক হলো,
‘একটি গুরুত্বপূর্ণ, কৌশলগত এবং ফলপ্রসূ অংশীদারিত্ব।
আর রাষ্ট্রদূত গারসেটি ভারতীয় জনগণ এবং ভারত
সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী অংশীদারিত্বের একজন চ্যাম্পিয়ন।
অন্যদিকে ভারতে মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র
পলিটিকোর এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন,
রাষ্ট্রদূত গারসেটি এবং মার্কিন মিশন ভারতের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ, কৌশলগত এবং ফলপ্রসূ
অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিদিন কাজ করছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম উইওনের এক খবরে বলা হয়েছে,
কানাডা-ভারত কূটনৈতিক টানাপড়েনে ভারসাম্যমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
জো বাইডেন প্রশাসন বিষয়টিকে শক্তভাবে নিতে চাইছে না।
শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারা কানাডা এবং ভারত উভয়কেই দ্বিপাক্ষিকভাবে সমস্যাটি সমাধান করতে বলছেন।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি
সম্প্রতি বলেছেন, এই দুই দেশকে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে দিন।
গত সপ্তাহে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন
কানাডাকে সহযোগিতা করার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছিলেন।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার
বলেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করছে।
এছাড়া গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
সেখানেও আলোচনায় ভারত-কানাডার বিরোধের বিষয়টি উঠে আসে।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার পেছনে নয়াদিল্লির হাত ছিল বলে
সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ
তোলার পর ভারত ও কানাডা সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
ভারত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দুই দেশের পালটাপালটি কূটনীতিক বহিষ্কারের পর কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।
সর্বশেষ ভারত সরকার আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে
কানাডাকে ৪১ জন কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে নিতে বলেছে।
অটোয়া এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে দিল্লির সম্পৃক্ততার কোনো পূর্ণাঙ্গ প্রমাণ দিতে পারেনি।
তারা ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগত সংলাপ অব্যাহত রাখার কথা বলেছে।