সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ রুহুল আমীন এ দণ্ডাদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: রাজবাড়ী শহরের বিনোদপুর এলাকার মৃত নূরুদ্দোহার ছেলে মীর এনাম আলী বাচ্চু ও ১ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকার মোকাম মিয়ার ছেলে সানোয়ার রহমান জকি।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: রাজবাড়ী শহরের বিনোদপুর লোকসেড এলাকার মৃত জামাল মিয়ার ছেলে ইয়াকুব মিয়া, বিনোদপুর এলাকার বাবলু মিয়ার ছেলে রানা মিয়া, ১ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকার আজিজ দেওয়ানের ছেলে শাহিন দেওয়ান, একই এলাকার আ. আজিজ খানের ছেলে ফরহাদ হোসেন বাপ্পী ও কালুখালী উপজেলার হুগলা ডাংগী এলাকার আকমল বিশ্বাসের ছেলে রশিদ বিশ্বাস। তবে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সানোয়ার রহমান জকি, রানা মিয়া ও ফরহাদ হোসেন বাপ্পী পলাতক রয়েছেন।
এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে খায়রুল, উজ্জল, আরিফ মণ্ডল ও আরিফ নামে চার আসামিকে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা বাবলুকে ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন সাংবাদিক সানাউল্লাহর বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাবলুর ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর মামলার দুই তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজবাড়ী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়াদুদ আলম ও জিল্লুর রহমান ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। এ ছাড়া আদালত ১৩ জনের মধ্যে থেকে দুইজনকে অব্যাহতি দিয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রাজবাড়ী জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ জানান, এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে দীর্ঘ ১০ বছর পর সোমবার দুপুর আড়াইটায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
