দেশের বহুল আলোচিত ইসলামী সংগঠন “হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের “কেন্দ্রীয় সম্মেলন (কাউন্সিল) ১৫ নভেম্বর (রবিবার)। হেফাজতের সদর দপ্তর হিসেবে পরিচিতি দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতের এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। হেফাজতের প্রায় সাড়ে ৩’শ জন কেন্দ্রীয় শীর্ষ মুরুব্বিরাই ঠিক করবেন কে প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফির স্থলাভিষিক্ত হবেন। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে ঘিরে হেফাজত নেতাদের মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির ও দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তারপর থেকে হেফাজতের আমিরের পদটি শূণ্য রয়েছে।
মূলতঃ এরপর থেকেই হেফাজত প্রতিষ্ঠার ৮ বছরের মাথায় এসে কাউন্সিলের আলোচনা শুরু হয়।
এদিকে, আগামী রবিবার হেফাজতের কেন্দ্রীয় সম্মেলন (কাউন্সিল) উপলক্ষে সারাদেশ থেকে কওমি অঙ্গের শীর্ষ আলেমরা কাউন্সিলে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। হেফাজতের প্রায় সাড়ে ৩’শ জন কেন্দ্রীয় শীর্ষ মুরুব্বিরাই ঠিক করবেন কে প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফির স্থলভিষিক্ত হবেন।
জানা যায়, ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি গঠিত হয়েছিল চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক কওমি আক্বীদাপন্থি অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ। যদিওবা পরে অরাজনৈতিক এ সংগঠনটি রাজনৈতিক ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার প্রয়াত প্রধান পরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফিকে আমির ও মাদ্রাসার তৎকালীন সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মহাসচিব করে হেফাজতের ২২৯ সদস্যের মজলিশে শুরা কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেই সময়। দেশ বরেণ্য শীর্ষ আলেম আহমদ শফি চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার পর হেফাজতের আমিরের পদটি শূণ্য রয়েছে।
ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতির বিরোধিতার মধ্য দিয়ে হেফাজতের আত্মপ্রকাশ হলেও সংগঠনটি দেশজুড়ে আলোচনায় আসে ২০১৩ সালে ১৩ দফা দাবিতে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে ২০১৪ সালে ৫ মে শাপলা চত্বর অবরোধের মাধ্যমে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, ১৫ নভেম্বর(রবিবার) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সম্মেলনকে ঘিরে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে । সারাদেশের ৬৪টি জেলা থেকে হেফাজতের শীর্ষ নেতারা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। সেখানে তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে হেফাজতের আমির নির্বাচিত করা হবে।’
সূত্রে আরো জানা গেছে, বহুল প্রতিক্ষিত এ সন্মেলন নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কওমী আকিদার আলেমদের মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। হেফাজতের আমীর পদে শাইখুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মহাসচিব পদে ঢাকা খিলগাঁও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদির নাম আলোচনায় উঠে আসছে ।
হেফাজতের এ কেন্দ্রীয় সন্মেলন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠানের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।