রাফাহ ক্রসিং বন্ধ হওয়ার পর মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) গাজা থেকে কমপক্ষে ৩২০ বিদেশী নাগরিক মিসরে প্রবেশ করেছে।
মিসরিয় সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স নিউজ অ্যাজেন্সি এ কথা জানিয়েছে। রাফাহগামী একটি অ্যাম্বুলেন্সে ইসরাইলি হামলার পর শনিবার ও রোববার সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া হয়।
রয়টার্সের মতে, সীমিত সংখ্যক লোকের যাতাযাতের মাধ্যমে এটি সোমবার পুনরায় খোলা হয়েছিল। একটি মেডিক্যাল সূত্রা জানিয়েছে, মঙ্গলবার যারা মিসরে প্রবেশ করেছে তাদের মধ্যে মাত্র চার গাজার ফিলিস্তিনি আহত ব্যক্তি মিসরে চিকিৎসা পাবে।
এর আগে, গাজার হামাস সরকার বিদেশী পাসপোর্টধারীদের মিসরে সরিয়ে নেয়া স্থগিত করে। মিসরের হাসপাতালে আহত কিছু ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে নিতে ইসরাইল অনুমোদন দিতে অস্বীকার করায় শনিবার এ কার্যক্রম স্থগিত করেছিল হামাস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সীমান্ত কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, কোনো বিদেশী পাসপোর্টধারী গাজা উপত্যকা ত্যাগ করতে পারবে না যতক্ষণ না উত্তর গাজার হাসপাতাল থেকে আহত ব্যক্তিদেরকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে মিসরে নিয়ে যাওয়া হয়।
মিসরের নিরাপত্তা সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, কোনো আহত ব্যক্তি কিংবা বিদেশী পাসপোর্টধারী কাউকে শনিবার রাফাহ ক্রসিংয়ে দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, মিসরের রাফাহ টার্মিনালের দিকে আহত ব্যক্তিদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স কনভয়ে হামলার পর স্থগিতের সিদ্ধান্তটি আসে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ইসরাইলি বাহিনীর ঘোষণায় বলা হয়েছে তারা গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফার বাইরে রাখা অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়েছে, কারণ এসব হামাসের সন্ত্রাসী সেল দ্বারা ব্যবহৃত হতো।
সূত্র : আল-জাজিরা এবং এএফপি