ঢাকাসোমবার , ২৮ জুন ২০২১
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সর্বাত্মক লকডাউন: বাস্তবায়‌ন করা সরকা‌রের জন্য ক‌ঠিন চ্যা‌লেঞ্জ।

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৮, ২০২১ ১:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

করোনা মহামারি ঠেকাতে আজ সোমবার থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছি‌লো সরকার। কিন্তু গতকাল রাতে সোমবার থেকে সীমিত এবং বৃহস্পতিবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা আসে।

বৃহস্পতিবার জারি করা তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছিল, জরুরি কারণ ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। এ সময় সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলাচলও বন্ধ থাকবে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের দাবি, অর্থনীতি সচল রাখতে রপ্তানিমুখী এ শিল্প চালু রাখা প্রয়োজন।

কিছুদিন ধরে যেভাবে সারা দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছিল, তাতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না। এর আগে করোনা–সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সারা দেশে ১৪ দিন ‘শাটডাউন’ ঘোষণার সুপারিশ করেছিল। ভারত এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে সুফল পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

প্রশ্ন হলো জরুরি কারণ ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবে না বলে সরকার যে ঘোষণা দিয়েছে, তা কতটা বাস্তবায়ন করতে পারবে? বৃহস্পতিবার ঘোষণা আসার পরপরই ঢাকা ও অন্যান্য শহর থেকে দলে দলে মানুষ গ্রামে যাওয়া শুরু করেছে গণপরিবহন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও। রিকশা, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, ভ্যান, ট্রাক—যে যেভাবে পারে গন্তব্যে যাচ্ছে। এ যাত্রা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

এখানে জীবিকারও প্রশ্নটিও সামনে এসেছে। লকডাউন হলে শহরে বসবাসরত হতদরিদ্র মানুষের জীবিকাও বন্ধ হয়ে যাবে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের যথার্থই বলেছেন, ক্ষুধা ও লকডাউন একসঙ্গে চলতে পারে না। অর্থাৎ এই মানুষগুলোর খাবারের ব্যবস্থা করেই লকডাউন কার্যকর করতে হবে। করোনা সংক্রমণ বন্ধের উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা তথা মাস্ক ব্যবহার এবং নিয়মিত স্যানিটাইজ করা। যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সাম্প্রতিক লকডাউনের সময় সেটি মানানো যায়নি। সে রকম চেষ্টাও ছিল না। গত ঈদুল ফিতরে ছুটির সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও লাখ লাখ মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে গেছে, আবার ছুটি শেষে শহরে ফিরে এসেছে। ফেরি বন্ধ রেখেও তাদের রোখা যায়নি। সামনে ঈদুল আজহা। এ সময় কোরবানির হাটকে কেন্দ্র করে জনসমাগম বাড়ার আশঙ্কা আছে।

অতএব লকডাউন ঘোষণা করলেই সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য শেষ হয়ে যায় না। গত ৫ এপ্রিল থেকে চলে আসা লকডাউন পালিত হয়ে আসছে খুবই ঢিলেঢালাভাবে। সে সময়ে বিধিনিষেধগুলো কঠোরভাবে পালন করা ও সীমান্ত কড়াকড়িভাবে বন্ধ করা গেলে সংক্রমণ অনেকটাই কমানো যেত। ইতিমধ্যে সীমান্তবর্তী জেলাগুলো থেকে সারা দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রতিদিনই সংক্রমণ বাড়ছে। শুক্রবার মারা গেছেন ১০৮ জন। শনিবার মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমলেও সংক্রমণের হার ছিল ঊর্ধ্বমুখী।

এ অবস্থায় করোনা মোকাবিলায় কঠোর লকডাউনের বিকল্প নেই। কিন্তু সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে সারা দেশে লকডাউনের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ একা সরকারের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এ কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা ও নাগরিক সমাজকেও যুক্ত করতে হবে। সরকারের একলা চলা নীতি বুমেরাং হতে পারে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।