চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপে সরাসরি চতুর্থ রুট হিসেবে স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপারের মধ্যে জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে কোপার বন্দর থেকে মাত্র একদিনে সড়কপথে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে পণ্য পরিবহন করা যাবে। এ রুট চালুর ফলে বাংলাদেশ থেকে বার্ষিক ৯ কোটি ডলারের রপ্তানিপণ্য সরাসরি ইউরোপে যেতে পারবে।
গেল ফেব্রুয়ারিতে ৯৫০ একক কন্টেইনার নিয়ে ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল এমভি সোঙ্গাচিতা। যা ছিল দেশের সমুদ্র বাণিজ্যের ইতিহাসে সরাসরি ইউরোপ রুটে প্রথম জাহাজ।
সেই রুটের সফল যাত্রার পর নতুন করে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হয় স্পেন এবং নেদারল্যান্ডসের দুটি বন্দরের সাথে। এবার আগ্রহ দেখাচ্ছে স্লোভেনিয়ার পোর্ট কোপার। সম্ভাব্য রুট ও পরিচালন পদ্ধতি নিয়ে চলছে নানা পর্যায়ের আলোচনা।
পোর্ট অব কোপার বাণিজ্যিক পরিচালক মিটজা দুক বলেন, আমরা বিকল্প রুট হিসেবে কোপার বন্দরকে ব্যবহার করা জন্য প্রস্তাব দিচ্ছি, এই বন্দর ব্যবহারের পণ্য রপ্তানিতে খরচ কম হবে এবং সময়ও বাঁচবে।স্লোভেনিয়ার এ বন্দর থেকে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় সড়ক পথে মধ্য ইউরোপ এবং পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পণ্য পৌঁছানো সম্ভব। এতে কন্টেইনার প্রতি ৫ হাজার ডলারের মতো খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি বাঁচবে সময়।
এ রুটটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ। এতে পূর্ব এবং মধ্য ইউরোপে তৈরি পোশাকের নতুন বাজার তৈরি হবে বলে আশা তাদের।
শিপিং সংশ্লিষ্টরা ফিরতি পথে অন্য কোনো ট্রানজিট বন্দর ব্যবহারের চিন্তাও করা হচ্ছে । বর্তমানে পূর্ব এবং মধ্য ইউরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বাজার ৯০ মিলিয়ন ডলারের।