ইহুদিবাদী ইসরাইলের সীমান্ত দেয়ালকে অকার্যকর করে দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সস্তা ড্রোন। মার্কিন প্রভাবশালী পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস গতকাল (মঙ্গলবার) এক প্রতিবেদনে একথা বলেছে।
এতে বলা হয়েছে, ইসরাইলকে ধোঁকা দেয়া এবং গাজা সীমান্তের নজরদারি অবকাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ দুর্বলতা খুঁজে পাওয়া ছিল অভিযান পরিচালনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা হামাসকে গত পাঁচ দশকের মধ্যে ইসরাইলের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বাজেভাবে লণ্ডভণ্ড করে দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
পত্রিকাটি বলছে, ইসরাইলের সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে- তাদের এজেন্সিগুলোই গত শনিবার দক্ষিণ ইসরাইলে হামাস যোদ্ধাদের অনুপ্রবেশের প্রাথমিক ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ২৯টিরও বেশি শহর ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ১২০০ সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনাকারীকে হত্যা করে। এছাড়া, বহু সেনা ও বসতি স্থাপনাকারীকে ধরে নিয়ে গেছে।
শনিবারের হামলার আগে, ২০২১ সালের মে মাসে সংঘর্ষে ইসরাইল হামাসকে সফলভাবে মোকাবেলা করেছে বলে মনে করেছিল। ২০২১ সালে হামাসের বহু সংখ্যক রকেট ভূপাতিত করে ইসরাইল নিশ্চিত হয়েছিল যে, এই সংগঠনটি আসন্ন কোনো হুমকি নয়। এছাড়া, ইসরাইল তার নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত দেয়ালের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভর করেছিল।
নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, হামাস তার আক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে ড্রোন থেকে গোলাবারুদ ফেলে অন্তত চারটি যোগাযোগ টাওয়ারের যোগাযোগ ব্যবস্থা “অকেজো” করে দেয়। এর ফলে ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের দেয়াল ভাঙা ও সীমান্ত লঙ্ঘন দেখতে পায়নি। এতে হামাসের কাজ প্রত্যাশার চেয়ে সহজ হয়ে ওঠে। হামাস বিস্ফোরক এবং বুলডোজার ব্যবহার করে প্রায় ১৫০০ যোদ্ধার জন্য প্রায় ৩০টি ফাঁক তৈরি করে। হামাসের অভিযানের পর ইসরাইলি সেনাদের বিমান সমর্থন দিতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তারা প্রথম দিকে বুঝতেই পারেননি, কতটা বড় অভিযান চালিয়েছে হামাস।#
পার্সটুডে/এসআইবি/১১