ঢাকাসোমবার , ১৪ জুন ২০২১
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিলেন স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা মামলার আসামি এএসআই (বরখাস্ত) সৌমেন রায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৪, ২০২১ ৭:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ তিনজনকে হত্যা মামলার আসামি বহিষ্কৃত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়কে আদালতে নেয়া হয়েছে। সোমবার (১৪ জুন) দুপুর ১টার দিকে তাকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিমের আদালতে নেয়া হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন সৌমেন রায়।

সোমবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার (ওসি-তদন্ত) নিশি কান্তা সাহা জানান, আদালতে ১৬৪ ধারায় সৌমেনের জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। একইসঙ্গে তার রিমান্ডের আবেদনও করা হয়েছে।

এর আগে, কুষ্টিয়ার ডিবি কার্যালয়ে রেখে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সোমবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার (ওসি-তদন্ত) নিশি কান্তা সাহা জানান, আদালতে ১৬৪ ধারায় সৌমেনের জবানবন্দী গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে তার রিমান্ডের আবেদনও করা হতে পারে।

সৌমেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) ফরহাদ হোসেন খান জানান, তার স্ত্রী আসমার সঙ্গে শাকিলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। রোববার ভোরে তিনি খুলনা থেকে বাসযোগে কুষ্টিয়ায় আসেন। এ সময় তিনি সার্ভিসের জন্য পাওয়া রিভলভার ও দুটি ম্যাগজিনে ১২টি গুলি সঙ্গে নিয়ে আসেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, বেলা ১১টার দিকে সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রথমে শাকিলকে গুলি করেন তিনি। এরপর আসমাকে গুলি করেন। এ সময় শিশু রবিন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকেও গুলি করেন। একটি ম্যাগজিনের গুলি শেষ হয়ে গেলে আরেকটি ম্যাগজিন ব্যবহার করেন।

রোববার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে নিহত আসমা খাতুন, তার ছেলে রবিন ও পরকীয়া প্রেমিক শালিক খানের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার।

তিনি আরও জানান, নিহত তিন জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে রোববার রাত ১২টার পর স্ব স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শাকিলের মরদেহ তার বাবা মেজবা রহমানের কাছে এবং আসমা খাতুন ও তার ছয় বছর বয়সী ছেলের মরদেহ মা হাসিনা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহতদের পারিবারিক সূত্র জানায়, বাদ জোহর নিহত আসমা খাতুন ও তার ছেলে রবিনের জানাজা শেষে নিজ গ্রাম কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের নাতুড়িয়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে

অন্যদিকে নিহত শাকিল খানের নিজ গ্রাম কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা কারিগর পাড়া গ্রামের মেছের উদ্দিন দারুল উলুম কওমি মাদরাসায় বাদ জোহর জানাজা শেষে সাঁওতা কারিগর পাড়া গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম জানান, এই হত্যাকাণ্ডে সৌমেনকে আসামি করে রোববার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।