বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (২২) হত্যা মামলায় ২৫ আসামির বিচার শুরু হবে কি না, সেই আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবেন। মামলায় কয়েক আসামির পক্ষে জামিন আবেদনের ওপর শুনানিও আজ অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২রা সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল, এহেসানুল হক সমাজী ও অ্যাডভোকেট মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া। ওইদিন ১৩ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। ৯ আসামির পক্ষে চার্জ শুনানি হয়নি। ৯ সেপ্টেম্বর তাদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি শেষ করেন। অপর তিন আসামি পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে চার্জ শুনানি হচ্ছে না।
আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, আমিনুল গণি টিটো, নজরুল ইসলাম, মঞ্জুরুল আলম, ফারুক আহাম্মদ, প্রিয়লাল সাহা, জাহিদুর রহমান।
আসামিরা হলেন-
১) বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল,
২) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ,
৩) তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার ওরফে অপু,
৪) সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত,
৫) আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা,
৬) উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল,
৭) ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন,
৮) গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না,
৯) কর্মী মুনতাসির আল জেমি,
১০) খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর,
১১) মো. মুজাহিদুর রহমান,
১২) মো. মনিরুজ্জামান মনির,
১৩) আকাশ হোসেন,
১৪) হোসেন মোহাম্মদ তোহা,
১৫) মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ,
১৬) শামীম বিল্লাহ,
১৭) মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা,
১৮) এএসএম নাজমুস সাদাত,
১৯) আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান,
২০) শামসুল আরেফিন রাফাত,
২১) মোর্শেদ অমত্য ইসলাম,
২২) এস এম মাহমুদ সেতু,
২৩) মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে
১) বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল,
২) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ,
৩) তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার ওরফে অপু,
৪) সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত,
৫) আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা,
৬) উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল,
৭) ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন,
৮) গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না,
৯) কর্মী মুনতাসির আল জেমি,
১০) খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর,
১১) মো. মুজাহিদুর রহমান,
১২) মো. মনিরুজ্জামান মনির,
১৩) আকাশ হোসেন,
১৪) হোসেন মোহাম্মদ তোহা,
১৫) মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ,
১৬) শামীম বিল্লাহ,
১৭) মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা,
১৮) এএসএম নাজমুস সাদাত,
১৯) আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান,
২০) শামসুল আরেফিন রাফাত,
২১) মোর্শেদ অমত্য ইসলাম,
২২) এস এম মাহমুদ সেতু,
২৩) মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে
২৪) জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও
২৫) মুজতবা রাফিদ।
২৫) মুজতবা রাফিদ।
আসামিদের মধ্যে প্রথম ২২ জন কারাগারে আছেন। শেষের তিনজন পলাতক। আর ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরার ফাহাদকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আবরার বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।