ঢাকারবিবার , ৫ জুন ২০২২
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাজতখানায় তারেকের পিএস অপুর সঙ্গে ১৫ নেতা-কর্মীর গোপন বৈঠক!

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৫, ২০২২ ৮:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপুর সঙ্গে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ভেতরে ১৫ নেতা-কর্মীর গোপন বৈঠকের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত প্রায় সোয়া ঘন্টাব্যাপী একজনের পর একজন অপুর সঙ্গে হাজতখানার ভেতরে পুলিশের সহায়তায় বৈঠক করেন। তবে বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হাজতখানা কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানায়, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ বৈঠকের করার সুযোগ করে দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।

জানা যায়, অপুর বিরুদ্ধে দুদকের করা সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলাটি আজ (রোববার) চার্জশিট গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এদিন সকাল ১০টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। সাড়ে ১০ টার দিকে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের এজলাসে তাকে তোলা হয়। আদালত আসামির উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণ করে আগামী ৩ জুলাই চার্জশুনানির তারিখ ধার্য করেন।

বেলা পৌনে ১১ টার দিকে আদালত থেকে আবার তাকে হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। মিনিট দশেক পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা অপুর দেখা করার জন্য ঘুষের দর কষাকষি শুরু করেন। এক পর্যায়ে জন প্রতি দেখা করার জন্য দুই হাজার টাকা করে চুক্তিতে সাক্ষাতের অনুমতি দেয় হাজতখানার পুলিশ সদস্যরা। এরপর একের পর এক নেতা কর্মী দেখা করেন।

বৈঠক করা খোকন নামে একজন জানান, অপু ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে ২ হাজার টাকা করে লাগছে। তবে কনস্টেবলকে অতিরিক্ত বকশিস হিসেবে আরও ২০০ টাকা দিতে হয়েছে। বাকি টাকা দিতে হয়েছে হাজতখানার ওসিকে।

এ সম্পর্কে হাজতখানার ইনচার্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাদিরুল সদিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আজকে মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু নামে এক আসামির মামলা ছিল। সে হাজাতখানায় থাকাবস্থায় কোনো লোকের সঙ্গে তার সাক্ষাতের ঘটনা ঘটেনি।

এ সম্পর্কে ঢাকার মেট্টোপলিটন পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন বলেন, হাজতখানায় কোনো আসামির সঙ্গে আদালতের অনুমতি ছাড়া কারোই দেখা করার সুযোগ নেই। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে তা খুবই খারাপ হয়েছে। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
এ সম্পর্কে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, এমন কিছু হয়ে থাকলে তা অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তে করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

এর আগে একই আদালতের মহিলা হাজতখানায় চলতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারি যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে দুই যুবকের গোপন বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনায় হাজতখানার ইনচার্জ নৃপেন কুমার বিশ্বাসকে প্রত্যাহার করা হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।