ঢাকাশুক্রবার , ২৯ জুলাই ২০২২
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এক্সপ্রেসওয়েতে আবাসন কোম্পানির কুদৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২৯, ২০২২ ৯:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সড়কপথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে। চোখ ধাঁধানো আধুনিকতায় উৎকৃষ্ট এই সড়ক ব্যবস্থা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় নতুন মাইলফক হিসেবেই দেখা হয়। পদ্মাসেতুর এই সংযোগ সড়ক মুন্সীগঞ্জবাসীর জীবনে এরই মধ্যে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।

তবে উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রায় অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনা যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনি অতি মুনাফালোভীদের নজর পড়তেও সময় লাগেনি।

আবাসন কোম্পানিগুলোর লড়াই যেন অনেকটা চর দখলের মতো। উত্তেজনার সুরে সে কথাই বলছেন মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সামসুল ইসলাম। উত্তেজিত হওয়ার কারণও রয়েছে তার।

হাউজিং ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন স্থানীয়রাও। অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে এলাকার তরুণদের দলে ভেড়ায় আবাসন কোম্পানিগুলো। এরপর পেশিশক্তির প্রভাব দেখিয়ে চলে দখলের উৎসব।

হাউজিং কোম্পানিগুলোর এমন কর্মকাণ্ডে প্রায়ই গণ্ডগোল বেঁধে যায়। বারবার প্রতিকার চেয়েও যার সুরাহা মেলেনি। নামস্বর্বস্ব এসব প্রতিষ্ঠানের দৌরাত্মে অনেকে তাদের জমিটুকু পর্যন্ত হারিয়েছেন।

শামসুল ইসলামের কথায় পরিষ্কার, পদ্মাসেতুকে কেন্দ্র করে, মুন্সিগঞ্জে আবাসন কোম্পানিগুলো রমরমা ব্যবসা করছে। ন্যায়-নীতির কোন বালাই নেই তাদের মধ্যে।

এক্সপ্রেসওয়ে কেন্দ্রিক হাউজিং ব্যবসার বাস্তবতা জানতে মাঠপর্যায়ের অনুসন্ধানে গিয়ে যাচাই করা হয় আওয়ামলীগ নেতার বক্তব্য কতটুকু সত্য।

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাসিন্দা বুলবুল। বাড়ীর পাশে কেওয়াটখালি মৌজায় বিশাল এই সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া।

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সুবাদে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া এসব জমির গুরুত্ব হঠাৎ বেড়ে গেছে, তাই যারপর নাই খুশি বুলবুল। আগের তুলনায় বহুগুণে দাম হাকছেন গ্রাহকরা, বিশেষ করে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা।

সুখবরের পাশাপাশি আবাসন কোম্পানিগুলোর কুদৃষ্টিও পড়ে, বুলবুলদের পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর। হাতছাড়া হতে বসেছিল তাদের ৩৫ একর জায়গা।

মাত্র কয়েক শতাংশের মালিকানা নিয়ে, তাদের জমিতে একের পর এক সাইনবোর্ড বসানো শুরু করে নামধারী একটি হাউজিং কোম্পানি। নিজেদের সম্পত্তি দাবি করে, গ্রাহকদের নিয়মিতভাবে সাইট পরিদর্শনেও নিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি।

এভাবে অন্যের জমিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে জমজমাট হাউজিং ব্যবসা করলেও সাধারণ গ্রাহকরা তা জানেন না। ফলে অনেকেই প্রতারিত হলেও লোক লজ্জার ভয়ে কথা বলেন না। প্রশাসনের তথ্য বলছে, এক্সপ্রেসওয়ে ঘিরে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং, শ্রীনগর ও গজারিয়ায় সব মিলিয়ে ২৫ থেকে ৩০টি হাউজিং কোম্পানি গড়ে উঠেছে। কিন্তু অনুমোদন রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটির।

তথ্য অনুযায়ি, হাউজিং ব্যবসায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে যে কয়টি ধাপ পার করতে হয়, তার প্রথম শর্ত একই জায়গায় নূন্যতম ১০ একর জমির হালনাগাদ খাজনা-খারিজ থাকতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ৩ ধরনের ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসনের দায়মুক্তি সনদ (ডিটিসি-ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন সার্টিফিকেট) এবং সবশেষে শহরের বাইরে হাউজিং ব্যবসার জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়।

ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যতদুর চোখ যায়, রাস্তার দুদিকেই নজরে পড়বে, অগণিত সাইনবোর্ড। সবই ভিন্ন ভিন্ন হাউজিং কোম্পানির নামে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।