হেফাজত ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জের আদালতে দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে বিয়ের কাবিননামা দাখিল করতে পারেননি।
সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্য দেন এসআই বোরহান ও এসআই কোবায়েদ হোসেন। এর আগে একই দিন সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামুনুল হককে ফের কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান, সোনারগাঁ থানায় জান্নাতুল ঝরনার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে মামুনুল হককে আদালতে তোলা হয়। দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এখন পর্যন্ত কাবিননামা আদালতে দাখিল করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। এ সময় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। পরে গত ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা নারী।
