ঢাকাসোমবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘কিসের দেশ ধ্বংস’ বলেই মুক্তিযোদ্ধা ম. ইনামুল হককে চড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ১:৪১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে লিফলেট বিতরণ করছিলেন কয়েকজন। এর মধ্যে বয়স্ক একজন কথা বলছিলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। এরই মধ্যে হঠাৎ তাকে চড় দেন আগত একজন। চড় মেরেই ঝাড়ি দিয়ে তিনি বলে উঠেন, ‘কিসের দেশ ধংস, ফোট। দেশ কিসের ধংস হইছে?’। এমনই একটি ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) এই ঘটনা ঘটে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে সামনে। আর চড় খাওয়া সেই ব্যক্তি হলেন, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ম ইনামুল হক।

জানা গেছে, ভোটডাকাতি, লুটপাট, অত্যাচার ও অনাচারের প্রতিবাদে আগামী ২৭ ডিসেম্বর অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে সর্বজন বিপ্লবী দল নামে একটি সংগঠন। সেই সংগঠনের হয়েই এই লিফলেট বিতরণ করছিলেন সরকারের সাবেক এই কর্মকর্তা। তিনিই এই দলটির আহ্বায়ক। আর এ জন্যই তাকে লাঞ্চিত করা হয়। ম ইনামুল হকের দাবি, তার ওপর হামলাকারী ওই ব্যক্তি মেহেরপুরের আওয়ামী লীগ নেতা।

ম ইনামুল হক বাংলাভিশনকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট কিছু দাবিতে আমরা প্রতি শনিবার শাহবাগে দাঁড়াই। আগামী ২৭ ডিসেম্বর আমরা হরতাল ডেকেছি। সেই হরতালের সমর্থনে শনিবার বিকেলে শাহবাগে দাঁড়িয়ে লিফলেট বিতরণ করছিলাম। তখনই বেশ কয়েকজন লোক আমাদের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল, তাদের গলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আইডি কার্ড ছিল। তাদের মধ্যে একজন বিভিন্ন প্রশ্ন করে। তারপর সে চলে যায়। এরপর আমি একজন সাংবাদিককে হরতালের বিষয়ে ইন্টারভিউ দিচ্ছিলাম। এরই মধ্যে সে এসে হঠাৎ আমাকে চড় দিয়ে বসে। এবং বলে তারা এত মানুষ আসছে দেখেও কেন আমি এসব করছি।’

তিনি বলেন, ‘চড় দেওয়ার পরই আমি তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানান, মেহেরপুর থেকে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের এসেছেন তারা। চড় মারার কারণ জানতে চেয়ে আমি বলি, আপনাদের সমস্যা হলে বলতেন আমরা চলে যেতাম, মারলেন কেন। এর মধ্যে একজন নারী এসে প্রতিবাদ করেন। তখন সে পালিয়ে যায়। তবে তার সঙ্গে থাকা লোকদের আমি বলি আমার বাড়িও চুয়াডাঙ্গা তখন তারা অনুতপ্ত হয়।’

ম ইনামুল হক আরও বলেন, ‘আমরা শাহবাগে নিয়মিত প্রোগ্রাম করি। আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগও আমাদের পাশে প্রোগ্রাম করে কিছুই হয় না। দেশের মধ্যে শাহবাগ একমাত্র জায়াগা যেখানে সব মতের লোকজন কথা বলার সুযোগ পায়। এখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে। কেউ কাউকে বাধা দেয় না। আমি বিশ্বাস করি এ হামলা আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি। তারা না বুঝে বাহাদুরি দেখানোর জন্য করেছে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ভয়ের যে সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করেছে। প্রতিপক্ষকে ভয় দেখিয়ে যে দমননীতি, দমন করা সেটারই একটা প্রতিফলন ছিলো এটা।’

হরতালের বিষয়ে ম ইনামুল হক বলেন, ‘বিগত প্রায়ই আমরা প্রতিমাসেই হরতাল ডাক দেই। এই হরতালটা পুলিশের ভাষায় প্রতীকি। আসলেই প্রতীকি। যেটাতে আমরা বলছি যে, ব্যক্তিগত পরিবহন না নামিয়ে গণপরিবহন চলবে। যাতে আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারি। বিষয়টা হলো: একটা স্বচ্ছ্ব নির্বাচন, একটা ভোটকেন্দ্র দখলমুক্ত নির্বাচন। এবং সেখানে যেই জিতুক না কেন।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।