দোনেৎস্কের মাকিভকায় রুশ সেনাদের ওপর ইউক্রেনের হামলার জন্য সেনাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারকে দায়ী করেছে মস্কো। তদন্তের পর রুশ সেনাবাহিনী জানায়, নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও সেদিন সেনারা মোবাইল ব্যবহার করছিল। নতুন বছরের প্রথম প্রহরে রুশ সেনাদের ব্যারাক লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছিলো ইউক্রেন সেনারা।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হাইমার্স রকেট সিস্টেম থেকে ছয়টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। যার মধ্যে দুটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।
ওই হামলায় রাশিয়া ৮৯ সেনা নহত হয়েছে।
যদিও ইউক্রেনের দাবি হামলায় ৪০০ সেনা নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে অন্তত ৩০০ জন।। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর একদিনে রাশিয়ার সর্বোচ্চ সেনা নিহতের ঘটনা এটি।
এ ঘটনার পর কিভাবে ইউক্রেন এত শক্তিশালী হামলা চালালো, তার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। সেই তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, ব্যারাকে থাকা সেনারা লুকিয়ে নিষিদ্ধ মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় এ হামলা চালাতে সমর্থ হয়েছে ইউক্রেন। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করেই রুশ সেনাদের অবস্থান শনাক্ত করে ইউক্রেনীয় সেনারা।
যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবহেলা প্রমাণ মিলবে তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
এদিকে রুশ সেনা নিহতের ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে রাশিয়ায়। এ ঘটনার জন্য দায়ী রুশ জেনারেলদের শাস্তি দাবি করেছেন কয়েকজন আইনপ্রণেতা ও রুশ জাতীয়তাবাদী।
এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত রুশ সেনাদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেবে মস্কো। এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ডিক্রি অনুযায়ী, ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত রুশ সেনাদের পরিবারকে ৫০ লাখ রুবল দেয়া হবে। আর আহত সেনাদের দেয়া হবে ৩০ লাখ রুবল। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর দিন থেকে এ পর্যন্ত যুদ্ধে হতাহতদের ক্ষেত্রে নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।