ঢাকারবিবার , ২২ অক্টোবর ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, দুশ্চিন্তায় উপকূলের জেলেরা

অনলাইন ডেস্ক
অক্টোবর ২২, ২০২৩ ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

প্রজনন মৌসুম এবং ইলিশ সুরক্ষায় সাগরে মাছ ধরায় চলছে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা।

গত ভরা মৌসুমে আশানুরূপ ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলে, বোটমালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

এর মধ্যে ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বলে অনেক জেলেকে।

এ সময় কর্মহীন জেলেদের মধ্যে ১৫০০ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়া হলেও সরকারি বরাদ্দ পাননি কেউ কেউ। এতে দুশ্চিন্তা বেড়েছে তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ১২ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে।

উপকূলের জেলাগুলো মৎসজীবীরা বলেন, এর আগে ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় দুই মাস ধরে বেকার ছিলেন তারা।

নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ আহরণ শুরু হলেও বঙ্গোপসারের মোহনায় আগের মতো ইলিশ না পাওয়ায় হতাশ তারা।

জেলেরা বলেন, ভরা মৌসুমে সাগরে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়েনি। তার ওপরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

যার ফলে মাছ ধরার সময় সাগরে থাকতে পারেননি তারা। এজন্যই ঋণে জর্জড়িত হয়ে পড়েছেন।

এখন আবার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা।

কিস্তির টাকা কীভাবে পরিশোধ করবে , বুঝতে পারছেন না অসহায় জেলে পরিবারগুলো।

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার চারদিন পেরিয়ে গেলেও পুনর্বাসনের চাল পায়নি সব এলাকার জেলেরা।

ভোলা, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, চাঁদপুর উপকূলের জেলেরা আছেন অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তার মুখে।

একদিকে ঋণের বোঝা অন্যদিকে পরিবারের সদস্যদের মুখে কীভাবে তিন বেলা খাবার তুলে দেবেন সে চিন্তায় দিশেহারা এ মানুষগুলো।

এমন বাস্তবতার মুখে অনেক জেলেই আবার বাধ্য হয়ে পেটের টানে ইলিশ ধরতে গিয়ে জেল-জরিমানার মুখে পড়ছেন।

এ অবস্থায় জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল দ্রুত বিতরণের দাবি তাদের।

২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেদের কেউ জাল বুনছেন কেউ বা জাল-নৌকা মেরামত করে সময় পার করছেন।

উপকূলের জেলেদের এমন কর্মব্যস্ততা থাকলেও তাদের চোখে-মুখে জীবিকা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা।

এমন অবস্থায় জেলেরা দাবি তুলেছেন নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন যদি এনজিও কিস্তি বন্ধ রাখা হতো তাহলে কিছুটা হলেও সংকট দূর হতো।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রশাসনের চাল বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে, আশা করি খুব দ্রুত সবাই ধারাবাহিক ভাবে চাল পাবেন।

পার্সটুডে/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।