উৎসাহ উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীতে হয়েছে ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাস্নান। এই স্নানকে কেন্দ্র করে তিতাসে পাড়ে ভিড় জমান পুর্নার্থীরা। পিতৃ পুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় নদীর তীরে বসে পুরোহিতের মাধ্যমে করা হয় মন্ত্র জপ।
শনিবার (৬ এপ্রিল) ভোর থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের তিতাস পাড়ে দলে দলে আসতে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে নদীর পাড়ে দেখা মিলে লোকজ মেলা। মেলায় হরেক রকমের মন্ডা মিঠাই, হাওয়াই মিঠাই, নারুসহ বাহারী খাবারের সমাহার দেখা যায়।
নদীর ঘাটে আসা পুরোহিত নিমাই চক্রবর্তী জানান, প্রতিবছর চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রৈয়দশীতে এই গঙ্গাস্নান হয়ে থাকে। সনাতন হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী পবিত্রজলে গঙ্গাস্নান করলে দেহের পাপ মোচন হয়। রোগ থেকে আরোগ্য লাভের পাশাপাশি পরিবারে আসে স্বস্তি। এই প্রত্যাশা থেকেই গঙ্গাস্নান করতে ভিড় করেছেন মানুষজন।
সনাতন শাস্ত্রের স্কন্দ পুরাণে তথ্য অনুয়ায়ী চৈত্রমাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শতভিষা নক্ষত্র যোগ হলে সেই তিথি বারুণী নামে পরিচিত।
এই তিথিতে স্নান করলে বহুশত সূর্যগ্রহনের জন্য গঙ্গাস্নানের যে ফল সেই ফল লাভ করা যায়। হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ।
বাংলা সনের প্রতি চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এই স্নান হয়। শাস্ত্র মতে কোন বছর যদি ঐ দিনটি শনিবার হয় তবে ঐ বারুণী স্নান অসাধারণত্ব লাভ করে মহা বারুণী স্নান রুপ লাভ করে।।এই স্নানটি বস্তুত্ব হিন্দু ধর্মীয় একটি পূন্য স্নান উৎসব।