দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতার সাধারণ জনগণকে নিয়মিত গোসল না করতে আহবান জানানো হয়েছে। এমনকি পানির অপচয় রোধে দম্পতিদের একসঙ্গে গোসল করতে বলা হচ্ছে।
বৃষ্টির অভাবে জলাধারের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বোগোতার মেয়র কার্লোস ফার্নান্দো গালান এ আহবান জানিয়েছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
কার্লোস বলেন, দম্পতিরা একসাথে গোসল করুন। পানি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এটি একটি শিক্ষামূলক অনুশীলন, অন্য কিছু নয়। এই ধরনের অভ্যাস আমাদের অনেক সাহায্য করতে পারে। এই আচরণগত পরিবর্তনগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, আপনি যদি রোববার বা সপ্তাহের অন্য কোনো দিন আপনার বাড়ি থেকে বের না হন, তবে এটির সুবিধা নিন এবং গোসল করা থেকে বিরত থাকুন।
এরইমধ্যে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা থেকে কলম্বিয়ার রাজধানীর বেশিরভাগ অঞ্চল বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনোর প্রভাবে কলম্বিয়াজুড়ে খরা চলছে। যার প্রভাব পড়েছে জলাধারগুলোতে। এই জলাধারগুলো থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে পানি সরবরাহ করা হয়। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় এগুলো শুকাতে শুকাতে এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে এখন পানির সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কার্লোস বলেন, আসুন এই সময়ে বোগোতার এক ফোঁটা পানিও যাতে আমরা নষ্ট না করি।
তবে বোগোতা লাতিন আমেরিকার একমাত্র প্রধান শহর নয় যা খরা মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। মেক্সিকো সিটিও গত মাসে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে রেশন ব্যবস্থা চালু করছে। এছাড়া খরার কারণে হওয়া দাবানল নিয়ন্ত্রণে গুয়াতেমালা বুধবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
এল নিনো হচ্ছে আবহাওয়া পর্যায়বৃত্তের উষ্ণ পর্যায়, আর লা নিনা হচ্ছে শীতল পর্যায়। পর্যায়বৃত্ত এই পরিবর্তনের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই, তবে সাধারণত প্রতি দুই থেকে আট বছর পরপর পরিবর্তন দেখা যায়।
এল নিনোর কারণে বন্যা, খরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যায়। উন্নয়নশীল যেসব দেশ কৃ্ষিকাজ এবং মাছ শিকারের ওপর নির্ভরশীল, তারাই এল নিনো দ্বারা অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।