বর্তমানে হাট-বাজারে লাল নীল হলুদ সবুজ বাহারি রঙের মুরগীর বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে। চলারপথে কেউ এ বাহারি রঙের মুরগীর বাচ্ছা দেখে লুফে উঠে ;আর এ ফাঁকে চড়াদাম নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এমন ব্যবসার প্রতি চোখ পড়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের। এত ছোট্ট ছোট্ট মুরগীর বাচ্চা বিক্রির জন্য লাল, নীল ও সবুজ রঙে কিভাবে রাঙ্গিয়ে রাখে সেই খোঁজে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে হতভাক!
ভ্রাম্যমান আদালত শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পান যে, বাজার থেকে কাপড়ের রং কিনে এনে সেগুলো গুলিয়ে একটা পাত্রে রাখা হয়। তারপর সেখানে একটা করে বাচ্চা নেয়া তারপর সেটাকে অনেকটা হাত দিয়ে কচলিয়ে রঙিন করা হয়। তারপর গরমে শুকানো হয়,ফ্যানের বাতাসে করলেও হতো। পুরো বিষয়টা ব্যবসার জন্য একটা প্রাণীকে অনেকটা সিংগারা পুরির মত করে দলাই মলাই করার মতো করে ফেলে। কড়া রোদ্রে শুকানোর পর সেগুলোকে ফেরী করে পাড়ায়-মহল্লায় বিক্রি করে টু-পাইস হাতিয়ে নিচ্ছে। আবার, বিভিন্ন হাট-বাজারে খুছরা মুরগী ও কবতর বিক্রির দোকানে রঙিন এস মুরগীর বাচ্ছাকে ডালা অথবা খাঁচায় রেখে বিক্রি করা হয়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রঙে রাঙ্গানো মুরগীর সব বাচ্ছা জব্দ করেন।
