মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের ওই গৃহবধূর সাথে সম্প্রতি রং নাম্বারে ময়দানদিঘী ইউনিয়নের সোনাপাড়া এলাকার যুবক জাহিদুল ইসলাম রতনের পরিচয় হয়। রতন মাঝে মধ্যে ওই গৃহবধূকে কল করে খোঁজ খবর নিতো। গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে ওই গৃহবধূ তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করেন। বিকেলে রতন ওই গৃহবধূর মোবাইলে কল করে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। গৃহবধূও প্রলোভনে পড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে ময়দানদিঘী বিআরটিসি কাউন্টারে যায়। সেখানে রতন ওই গৃহবধূকে বিয়ের জন্য কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমিরুলের অটোরিক্সায় করে বোদা বাজার হয়ে পঞ্চগড় রেলস্টেশনে নিয়ে যায়। সেখানে খাওয়া দাওয়ার পর গভীর রাতে শহিদুলের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মালাদাম এলাকার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সুবিধে করতে না পেরে আবার ওই গৃহবধূকে নিয়ে পঞ্চগড় মৈত্রি ফিলিং স্টেশনে সামনে গাড়ি থামায়। এ সময় ওই গৃহবধূ তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে চিৎকার করলে তারা তাকে মারধর করে এবং গলা চেপে ধরে। এক পর্যায়ে রতন ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। পরে চালক শহিদুলও তাকে ধর্ষণ করে। তারা দুজনের ভোর পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই গৃহবধূকে। এ সময় অটোরিক্সাচালক আমিরুল ও নুর আলম বাইরে ঘুরাফেরা করে পাহারা দেয়। ভোরে ওই গৃহবধূকে মোটরসাইকেল যোগে নিয়ে বোদা বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় রতন। খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর স্বামী তাকে সেখান থেকে বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়ি ফিরে মঙ্গলবার রাতে ওই গৃহবধূ তার স্বামীকে নিয়ে বোদা থানায় গিয়ে দুই ধর্ষকসহ চারজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর রাতেই রতনকে গ্রেপ্তার করে বোদা থানা পুলিশ। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অপর ৩ আসামীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও জব্দ করা হয়।
বোদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া জানান, ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ওই চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধন ২০২০ অধ্যাদেশে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেছেন। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
