হাটহাজারী উপজেলার নাজিরহাট রেল লাইনের পার্শ্বে বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন ২নং খতিয়ানের পূর্ব মন্দাকিনী মৌজার ১৮২৭ দাগের মোট ৫২ শতক জমি জনৈক সিরাজুল ইসলাম ওরফে ইসলাম কোম্পানী কর্তৃক নজিরবিহীনভাবে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিলেন। এ দখল থেকে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত ২১ শে জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) প্রাথমিক ভাবে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট উচ্ছেদ করা হয়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, অবৈধ দখলদার ১৮২৭ দাগের ৯৩৯২ দশমিক ৫ বর্গফুট বা ২১ শতক জমিতে ১৭টি সেমিপাকা ঘর এবং ২টি দোকান নির্মাণ করে প্রতিটি ঘর ৩০০০/৪০০০ টাকা করে প্রতিমাসে ভাড়া দিয়েছেন। একই দাগের ১১৬০২ দশমিক ৫ বর্গফুট বা ২৬ শতক জমিতে স্থায়ী ভিত দিয়ে দোতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে স্থাপন করেছেন মুরগীর খামার। এছাড়াও ৩ দশমিক ৮৩ শতক জমিতে নির্মাণ করেছেন বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট।
উক্ত জমি তিনি শুধু দখলই করেননি একপাশে সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন, দিয়েছেন বিশাল গেইট। খালের মধ্যে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহে বাধাঁর সৃষ্টি হবে। অবৈধ দখলদারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, রেলওয়ে থেকে লীজ নিয়েছেন। লীজের কাগজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি ১৪২৬ বাংলা সন পর্যন্ত কৃষি কাজের জন্য লীজ নিয়েছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি ব্যস্থাপনা নীতিমালা-২০২০ এর ৩০ ধারায় বলা আছে চাষযোগ্য কৃষি ভূমি ২ বছরের জন্য লাইসেন্স প্রদান করা যাবে। লীজ গ্রহীতা কৃষি কাজের জন্য ৩০ শতক জমি লীজ নিলেও বাস্তবে তা কৃষি জমি নয়। ৩০ শতক লীজ নিয়ে দখল করেছেন ৫১ শতক। নীতিমালায় আবাসিক ঘর নির্মাণ নিষেধ থাকলেও ১৭টি ঘর ও দুইটি দোকান নির্মাণ করেছেন। দোতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে স্থায়ী স্থাপনা অর্থাৎ দোতলা ভবন নির্মাণ করেছেন, এক সনা লীজে এরকম স্থাপনা নির্মান বিস্ময়কর সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। এছাড়া, তিনি খাল দখল করে বায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মাণ করেছেন।
গত ২১ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকালে উপজেলা প্রশাসন (ইউএনও ও এসিল্যান্ড) দুই দিনে বায়োগ্যাসের স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে খাল দখলমুক্ত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন আরো জানান, এ অবৈধ দখলের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রনালয় কে শীঘ্রই অবহিত করা হবে।