সম্প্রতি সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ আমন্ত্রনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপি হেফাজতে ইসলামের তান্ডবের পর সংগঠনটি আবারো দেশ-বিদেশের খবরে আসে। তবে যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের রিসোর্ট কান্ডের পর থেকে দলটির অতীত বর্তমান নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে হেফাজতে ইসলাম।
সংগঠনটির সাবেক আমির আহমদ শফীকে হত্যার প্ররোচনা মামলায় সংগঠনটির বর্তমান আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন এই প্রতিবেদন দাখিল করেন।
কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমীর আল্লামা আহমদ শফির মৃত্যুর দু’মাসের মাথায় তার শ্যালক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় ৩৬ জনকে আসামি করা হলেও এতে ৪৩ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পিবিআই। এর মধ্যে আদালতে পরিবারের পক্ষ থেকে দেয়া অভিযোগ থেকে ৫ জন বাদ পড়লেও নতুন করে সম্পৃক্ত করা হয়েছে আরও ১২ জনকে। নানাভাবে নির্যাতন করে আল্লামা আহমদ শফিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছিলো বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা গত ১২ জানুয়ারি ঘটনাস্থল হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন। এসময় তারা হেফাজতে ইসলামের বর্তমান আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীর জবানবন্দীও নিয়েছিলেন।
বর্তমান আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করে অভিযুক্তদের বিচারের দাবী জানিয়েছেন মামলার বাদী মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন।
গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় কিছু দাবী নিয়ে হেফাজতের একটি অংশ আল্লামা আহমদ শফিকে অবরুদ্ধ রাখে। এমনকি চিকিৎসার জন্য মাদ্রাসা থেকে বের করার সময় তার অ্যাম্বুলেন্স’ও আটকে রাখা হয়েছিলো। পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় তার মৃত্যু হয়।
