মো. সুজন মোল্লা: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের রেইন্ট্রি তলা থেকে মিড়া বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা বর্ষা মৌসূম শুরু হতেই চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শুকনার মৌসূমে জনগণ চলাচল করতে পারে অনায়াসেই। চলে থ্রি-হুইলার সহ বিভিন্ন গাড়ি। বাঁধ সাজে র্বষা মৌসুম। এই সময়ে কাঁদা-মাটি-পানিতে একাকার হয়ে রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা আরও জানান এই রাস্তাটি দিয়ে মসজিদের মুসল্লিরা,স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন প্রকার ভেদের সাধারণ মানুষজন চলাচল করেন।
তবে বর্ষা মৌসূমেরর শুরুতেই সম্পূর্ণভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে রাস্তাটি। এ বপারে সংশ্লিষ্টতাপূর্ণ জনপ্রতিনিধিদের বহুবার মৌখিকভাবে বললেও যুগ পেরিয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
তবে তাদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়া গেছে ঝুঁড়ি ঝুঁড়ি। সেই বিশ্বাসে আজও বর্ষা মৌসূম শুরু হলে বাড়ি থেকে বের হতে মনের ভিতরটা আতকে ওঠে। স্থানীয়রা বর্তমান বানারীপাড়া উপজেলার উন্নয়নের রূপকার বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মো. শাহে আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাদের দূর্দশা লাঘবের জন্য।
তারা মনে করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. শাহে আলম এমপি যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার নির্বাচনী এলাকাকে উন্নয়নের মহা-সড়কে নিয়ে রাস্তা-ঘাট-পুল-কালভার্ট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবয়ব দৃষ্টি নন্দন করছেন তখন ১ যুগের গ্লানি মুছে সলিয়াবাকপুরের এই সামান্যতম দূরত্বের রাস্তাটিরও কাজ হবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
এদিকে সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি রাস্তা, পৌরসভা আবাসন থেকে গোয়াইলবাড়ি, মহিষাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিন রাস্তার মোড়, তিন রাস্তার মোড় থেকে খেজুরবাড়ি মনির হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত ও সূর্যমণি মেলার বড় ব্রিজ থেকে ধারালিয়া রাস্তার অবস্থা চরম বেহাল। যার কাজও দীর্ঘ ১যুগে হয়নি বলে এলাকাবাসী জানান।