আল-জাজিরার লাগাম টেনে ধরতে কাতারের সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সোমবার তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান যে, তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে আল-জাজিরার কার্যক্রমের লাগাম টেনে ধরতে বলেছেন। ওই সভায় উপস্থিত থাকা ভিন্ন তিন ব্যক্তির বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে অ্যাক্সিওস।
বুধবার প্রকাশিত অ্যাক্সিওসের ওই রিপোর্টটি নিয়ে এরইমধ্যে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা দেখা যাচ্ছে। আউটলেটটি রিপোর্টে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেনের প্রশাসন বিশ্বজুড়ে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের পক্ষে সওয়াল করে বেড়ায়। কিন্তু তারা এখন ‘উদ্বিগ্ন’ যে, আল-জাজিরা যেভাবে গাজা যুদ্ধ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে তা এ অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করবে।
গত ১৩ই অক্টোবর কাতার সফরে যান ব্লিঙ্কেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সফরের সময়ই তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আল-জাজিরা ইস্যুতে কথা বলেন। তিনি কাতার সরকারকে হামাসের সঙ্গে তাদের প্রকাশ্য সম্পর্কের বিষয়টিতে পরিবর্তন আনতে বলেন। সেটি কীভাবে করা যাবে তার উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি কাতার সরকারকে আল-জাজিরার লাগাম টেনে ধরতে বলেন। কারণ আল-জাজিরা ইসরাইল-বিরোধী উস্কানিতে ভরা খবর প্রকাশ করে।
আল-জাজিরা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হলেও এর অর্থায়ন করে কাতার সরকার। সমালোচকদের দাবি, গণমাধ্যমটির মাধ্যমে নিজের পররাষ্ট্রনীতি প্রতিফলিত করে কাতার। হামাসের সঙ্গে কাতারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। গত ৭ই অক্টোবর হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ কারণে কাতারের ওপর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। ইসরাইল বারবার অভিযোগ করেছে যে, আল-জাজিরা হামাসের ‘প্রোপাগান্ডা মাউথপিস’ হয়ে কাজ করছে। এ নিয়ে আল-জাজিরার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।