ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইউনেস্কোর দুর্গাপুজো স্বীকৃতিকে সম্মান জানালেন মমতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ ৯:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শহর কলকাতায় পুজোর আগেই পুজোর আমেজ। বিসর্জনে নয়, এবার আবাহনেই পুজো কার্নিভ্যালে মাতল কলকাতা। সম্প্রতি কলকাতার পুজোকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। সেই স্বীকৃতি উদযাপনেই বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) শহরজুড়ে উদযাপিত হয় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে কলকাতার বুকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, সৌরভ গাঙ্গুলি, টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রী থেকে সাধারণ মানুষ, ছাত্রছাত্রী, শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ অন্তত ১৩৫টি পুজো কমিটি ও মুখ্য সচিবসহ সব দপ্তরের সচিবরা।

বৃহস্পতিবার বেলা ২টা নাগাদ কলকাতার জোড়াসাঁকো থেকে শুরু হয় মিছিল। একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে কলুটোলা, বউবাজার, চাঁদনি চক, ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে পদযাত্রা পৌঁছায় রেড রোডে। রেড রোডে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। ঢাকের বোল, শঙ্খধ্বনি, ছৌ ও মুখোশ নাচ সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজ মাখামাখি হয়ে যায়। অনুষ্ঠানে বাংলার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান মমতা। ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদেরও সম্বর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদলকে স্মারক তুলে দেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তারা। ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে হাতে ফাইবারের দুর্গামূর্তি তুলে দেন মমতা। বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দল ও মমতাকে তেরঙ্গা উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। সেই সঙ্গে সোনালি রঙের দুর্গামূর্তিও তুলে দেন অতিথিদের হাতে।

এদিন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান সৌরভ। তিনি বলেন, আমাদের কাছে দুর্গাপুজো কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বলে বোঝানো যাবে না। আমি পৃথিবীর নানা দেশে ঘুরেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, সবারই দুর্গাপুজো দেখা উচিত।

কর্নিভ্যাল শুরুর আগে এদিন এক টুইট বার্তায় মমতা লেখেন, দুর্গাপুজো আমাদের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে। সবরকম সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে আমাদের একত্রিত করে দুর্গাপুজো। আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে শিল্পের মেলবন্ধন ঘটায় দুর্গাপুজো। বাংলার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ।

অনুষ্ঠানে একদম শেষ লগ্নে নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সৌরভকে ছোট ভাই সম্বোধন করে মমতা বলেন, সৌরভ আমার ছোট ভাইয়ের মতো। আমি ওকে খুবই ভালোবাসি, স্নেহ করি। আজকে ও যে সময় করে আসতে পেরেছে। খুব ভালো করে কথাও বলেছে, সেই জন্য ওকে ধন্যবাদ জানাই। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা বলেন, সারাবিশ্বকে ধন্যবাদ। আমরা স্যালুট করছি ইউনেস্কো টিমকে। ইউনেস্কোর সবাইকে বাংলার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। আজ থেকেই আমাদের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল। সব ধর্ম, বর্ণকে নিয়ে এগিয়ে চলব আমরা। মানবিকতার কোনো ধর্ম নেই। একতাই আমাদের সম্পদ। যে যেমনভাবে খুশি আনন্দ করুন। মনকে সবুজ রাখুন। হৃদয় বড় করুন। বাংলা নতুন করে জাগাক সবাইকে, এই পৃথিবী একটাই দেশ। আমাদের জাত একটাই। আমরা মানুষ।

যদিও এদিন টুইটে মমতাকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি লেখেন, শোভাযাত্রা করে কৃতিত্ব নিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির জন্য কৃতিত্ব নিতে চাইছেন। এই স্বীকৃতিতে তার কোনও ভূমিকা নেই। এটাই সত্যি। সংগীত নাটক অ্যাকাডেমির উদ্যোগেই এই স্বীকৃতি।

প্রসঙ্গত, ইউনেস্কোর এই তকমার পেছনে রাজনৈতিক রঙ লাগলেও এর আসল কৃতিত্ব অধ্যপিকা তপতি গুহ ঠাকুরতার। ২০০৩ সাল থেকে তিনি দুর্গাপুজো নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ২০১৮-১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ও সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি থেকে সামান্য গ্রান্ট নিয়ে তিনি এই গবেষণা শুরু করেন। এরপর দুর্গাপুজোর ২০টি ছবি ও ১টি ভিডিও দিয়ে তিনি ইউনেস্কোর ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন। তারপরই আবহমান অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিভাগে স্বীকৃতি পায়, কলকাতার দুর্গাপুজো। তীব্র বিতর্কের মুখে এদিন অধ্যাপিকা তপতি সংবর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।