জাতিসংঘ বলেছে, ইসরাইলের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর লেবাননে আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ২০,০০০ মানুষ। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক এজেন্সি আইওএম কর্মকর্তা বলেছেন, লেবাননে এমনিতেই পরিস্থিতি অবনতিশীল। তার ওপর এত বিপুল পরিমাণ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ায় তা আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
উল্লেখ্য, হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে লেবানন সীমান্তেও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। লেবাননের যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কয়েক দফা রকেট হামলা করেছে ইসরাইলে। এর জবাবে লেবাননের ভিতরে ইসরাইল হামলা চালিয়েছে। দেশটির সঙ্গে সীমান্তের প্রায় ২০টি শহরের লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
৭ই অক্টোবর হামাস রকেট হামলা চালায় ইসরাইলে। এর পরদিনই লেবানন সীমান্ত থেকে লোকজন সরে যেতে শুরু করেন। বেশির ভাগই লেবাননের দক্ষিণে সরে গেছেন। অন্যরা অন্যান্য এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।
আইওএমের মুখপাত্র মোহাম্মদ আলি আবুনাজেলা বিবৃতিতে বলেছেন, আন্তঃসীমান্ত উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। হামাসের রকেট হামলার পর গাজায় বেপরোয়াভাবে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে ৫০০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই বেসামরিক।
গাজায় হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে লেবাননের দক্ষিণে যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহও ইসরাইলকে টার্গেট করা বৃদ্ধি করেছে। জবাবে লেবাননের ভিতরে হামলা ও বোমা নিক্ষেপ করেছে ইসরাইল। এ অবস্থায় সীমান্তের দু’পাশের হাজার হাজার মানুষ নিজেদের দেশের ভিতরে সরে গেছে। আবুনাজেলা বলেন, এতে লেবাননের অবনতিশীল পরিস্থিতিতে সহায়ক হয়নি। এমনিতেই দেশটি অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে। সব শ্রেণির মানুষের মধ্যেই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে দারিদ্র্যের সংখ্যা। এ অবস্থায় মানুষ বাস্তুচ্যুত হলে তাতে বড় রকম চাপ পড়বে। উত্তরে উপকূলীয় শহর টাইরে’র আইনপ্রণেতা ইনায়া ইজ্জেদিন বলেন, এসব মানুষ যেসব পরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়েছে। একইভাবে চাপ পড়েছে সরকারের ওপর। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে চলছে এই যুদ্ধ। এক্ষেত্রে জনগণের সামনে কোনো পথ খোলা নেই। প্রায় ৬০০০ মানুষ শরণার্থীর মতো আশ্রয় নিয়েছেন টাইরে’তে। তাদেরকে আশ্রয় দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে তিনটি স্কুল।