গাজা উপত্যকায় ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আলজাজিরার কর্মী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানের পরিবারের ১৯ সদস্যই নিহত হয়েছেন। হামলায় অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি এবং একজন হামাস কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলার একদিন পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আল জাজিরা বলেছে যে “নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমা হামলায় আমাদের কর্মী এসএনজি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানের পরিবারের ১৯ সদস্যকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই”।
আলজাজিরা মোতাবেক এই গণহত্যায় মোহাম্মদের বাবা, দুই বোন, আট ভাগ্নে এবং ভাগ্নি, তার ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী এবং তাদের চার সন্তান, তার ভগ্নিপতি এবং এক চাচা প্রাণ হারিয়েছেন। মোহাম্মদ এবং তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে আলজাজিরা কর্তৃপক্ষ লিখেছে -” গভীর দুঃখের এই সময়ে মোহাম্মদের সাথে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং আমরা নিরপরাধ জীবনের এই নির্বোধ হত্যার জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার আহ্বান জানাই।” ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে আলজাজিরা।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) একটি বিবৃতিতে দাবি করেছে যে জাবালিয়া, গাজার বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে আক্রমণ করা হয়েছিল কারণ হামাসের “প্রধান” কমান্ডার ইব্রাহিম বিয়ারি হামাস যোদ্ধাদের সাথে একটি ভূগর্ভস্থ টানেল কমপ্লেক্সে ছিলেন। আইডিএফ জানিয়েছে, বিয়ারির সাথে এক ডজন যোদ্ধাও নিহত হয়েছে। ইতিমধ্যে হামাসের একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে যে জাবালিয়ায় ৪০০ জন নিহত ও আহত হয়েছে, এই অঞ্চলে ১৯৪৮ সালের ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধের কারণে উদ্বাস্তুদের পরিবারগুলি বাস করে। ইসরায়েল গাজার বাসিন্দাদের উত্তরাঞ্চল থেকে সরে যেতে বলেছে, যদিও অনুমান করা হয় যে কিছু পরিবার সেখানে অবস্থান করছে। আবার কেউ কেউ চলে গেছে। অন্যদিকে গাজায় আল জাজিরা আরবি-এর ব্যুরো চিফ ওয়ায়েল আল-দাহদুহ-এর পরিবারের তিন সদস্য ২৫ অক্টোবর নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের দুটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন। নিহতদের মধ্যে আল-দাহদুহের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে ছিলেন।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে