জেলা জজ বেগম শারমিন নিগার এবং জেলা জজ আদালতের দুর্নীতিবাজ নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত অঙ্গন। এই দাবিতে বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে মিছিল-সমাবেশ করেছেন আইনজীবীরা। আইনজীবী এবং আদালত কর্মচারীরা মুখোমুখি হওয়ায় আদালতে বিচার কাজ বন্ধ ছিল। এতে প্রায় ১০ হাজার বিচার প্রার্থী হয়রানির শিকার হয়।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে আদালতের কর্মচারীরা আইনজীবী কর্তৃক বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ ও কর্মচারীদের মারধরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেছে। এতে দূর-দুরান্ত থেকে আসা ১০ হাজারেরও বেশি বিচারপ্রার্থী বিচারকাজ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানবীর ভূঁঞা ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুলের নেতৃত্বে সাত শতাধিক আইনজীবী আদালত চত্বরে মিছিল বের করেন। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আন্দোলনরত আইনজীবীরা ‘এক দফা, এক দাবি- জেলা জজ কবে যাবি’ এমন শ্লোগান দেন। এরপর তারা সমিতি ভবনের সামনে সমাবেশে মিলিত হন।
সমাবেশে আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানবীর ভূঁঞা বলেন, আদালত চত্বরে জাল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি বিক্রি বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার কারণে জেলা জজ বেগম শারমিন নিগার আইনজীবীদের প্রতি নাখোশ হন। জাল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি বিক্রির সঙ্গে আদালতের দুর্নীতিবাজ নাজির মোমিনুল ইসলাম জড়িত। এজন্য মোমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা জজের কাছে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু জেলা জজ এই ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো দুর্নীতিবাজ নাজির মুমিনুল ইসলামের পক্ষাবলম্বন করেন।