শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে কুড়িগ্রামে।
মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার কারণে সড়কে দিনের
বেলাতেও যানবাহনের হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় এ জেলার
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি
সেলসিয়াস।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
সময় মতো কাজে যোগ দিতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে।
এ ছাড়া শিশু ও বয়স্কদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারদিক।
ফলে দিনের বেলাতেও বিভিন্ন যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
সময় মতো কাজে যোগ দিতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের
দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, দিন দিন এ
জেলার তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।
একই সঙ্গে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে।
এদিকে, গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে।
আগামী সপ্তাহে এই তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
তাপমাত্রার তুলনা করে দেখা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর দেশের
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি
সেলসিয়াস, ১২ ডিসেম্বর এক ডিগ্রি কমে তা হয় ১১
দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইভাবে ৫ ডিসেম্বর
ঢাকায় ছিল ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১২ ডিসেম্বর
তা ১ ডিগ্রি কমে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪; রাজশাহীতে ছিল
১৫ দশমিক ২, আজ ২ ডিগ্রি কমে ১৩ দশমিক ৬; রংপুরে ছিল ১৫ দশমিক ৮, আজ ১ ডিগ্রি কমে ১৪ দশমিক ৫;
ময়মনসিংহে ছিল ১৪, আজ তা বেড়ে ১৫; সিলেটে ১৭ ডিগ্রি ছিল, আজও তাই আছে; চট্টগ্রামে ছিল ১৯ দশমিক
৮, আজ তা ১ ডিগ্রি কমে ১৮ দশমিক ৩; খুলনায় ছিল ১৬, আজ ১ ডিগ্রি কমে ১৫ দশমিক ৫ এবং বরিশালে
ছিল ১৪ দশমিক ৬, আজ ১ ডিগ্রি কমে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এ হিসেবে সব মিলিয়ে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমেছে।
এসএ/