গত ১০ ঘন্টায় গাজীপুর মহানগরের ৫ জন জামায়াতের নেতা-কর্মী আটক এবং ১৩ টি বাসা বাড়ি এবং দোকান পাটে অভিযান পরিচালনা প্রেক্ষিতে এক যুক্ত বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ জামাল উদদীন এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো: খায়রুল হাসান বলেছেন, সরকার কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি উপেক্ষা করে গ্রেফতার হামলা মামলা নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।নেতৃদ্বয় বলেন
গতাকল রাতে টংগী থানার ৪৯ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মহানগর মজলিসে শুরার সদস্য মো:কামারুজ্জামান খান মামুন সহ মোট ১৩ টি বাসায় এবং দোকানে সরকারের পুলিশ বাহিনী অভিযান চালায়। গতকাল রাত আনুমানিক ৯:৪৫ মিনিটে গাজীপুর মহানগরীর ৫০ নং ওয়ার্ডের পূর্ব গাজীপুরায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মো: এনামুল হক মজুমদার এবং মো: শাহাদত হোসেনের বাড়ীর লোহার কলাপসিপল
গেট এবং কাঠের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। এছাড়া মো: শওকত হোসেন তালুকদার , হাবিবুর রহমানের ,আক্তার হোসেন ,হুমায়ুন কবির ,আঃ রাজ্জাক ,মল্লিকের বাসা বাড়িতে অভিযান চালায়। তল্লাশীরনামে বাসার জিনিস পত্র ভাংচুর ও তছনছ করে। প্রশাসনের লোকজন বাসার লোকদের বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশোভন আচারন করে।এসময় বাসার ভিতর থাকা নারী ও শিশুরা ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় রাত কাটায়। এছাড়াও ৪৯ নং ওয়ার্ডের রহমত উল্লাহ,আবু সুফিয়ন ,হাবিবুর রহমানের দোকানে অভিযান চালায়।
সকালে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের বড়বাড়িতে অবরোধের সমর্থনে মিছিল শেষে মো: জাকির হোসেন, মো: দেলোয়ার হোসেন, মো: খালেদ হোসেন নামে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল্লাহ মামুনকে সকাল ৯ টায় নিজ দোকান থেকে এবং ৮ নং ওয়ার্ডের মোঃ রফিকুল ইসলামকে দুপুরে কাশিমপুর জেল খানা রোড নিজ কর্মস্থল (নিরাপত্তা প্রহরী)থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। নেতৃদ্বয় আরো বলেন এভাবে নিরীহ নিরাপদ মানুষের ঘর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জননিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছে।
কোন অভিযোগ ছাড়া এভাবে রাতের অন্ধকারে বাসা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভয়ভীতি এবং আতংক সৃষ্টি করা একটি স্বাধীন দেশে মোটেই কাম্য নয়। এটা সাম্য শান্তি এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তারা আরো বলেন জনগণ আজ ভয়ভীতি উপেক্ষা করে দাবী আদায় রাজপথে নেমে এসেছে। গ্রেফতার করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে জনগণের দাবী আদায়ের আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবেনা। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের নি:শর্ত মুক্তি এবং অযথা হয়রানি বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।