ঢাকাবুধবার , ২ আগস্ট ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তারেক রহমানের ৯ বছর ও স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
আগস্ট ২, ২০২৩ ৪:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও পলাতক আসামি তারেক
রহমানের ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে ওই সম্পদগুলো বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

রায়ে আদালত তারেক রহমানের তিন কোটি টাকা এবং জুবাইদার ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন।
একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারিত পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন।

রায়ে আদালত তারেক রহমানের তিন কোটি টাকা এবং জুবাইদার ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন।
একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারিত পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয় ২৪ জুলাই।
ওইদিন সাক্ষী দেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তখনকার উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম।
মোট ৫৭ জনের মধ্যে ৪৩ জন সাক্ষী দিয়েছেন।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও জুবাইদার বিরুদ্ধে
অভিযোগ করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ২১ মে।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করে দুদক।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার
মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭
সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং জোবাইদার মা (তারেক রহমানের শাশুড়ি) ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জুবাইদা।
এরপর ওই বছরই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবাইদার করা মামলা বাতিলের
আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন।
একইসঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবাইদাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবাইদা।
এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ
লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় ইকবাল মান্দ বানুর মৃত্যু হলে তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এদিকে ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন সাজা তারেক রহমান আরও
তিনটি মামলায় আদালতের দণ্ডপ্রাপ্ত।
এগুলোর মধ্যে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর, অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর
এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অপরাধে দুই বছরের সাজা পান।
একাত্তর/এসি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।