পটুয়াখালী থেকে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার উদ্দেশ্যে কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। স্টাফরা বলছেন যাত্রী স্বল্পতার কারণে লঞ্চ ছাড়া হয়নি।
ঢাকার নৌরুটে লঞ্চ না ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পটুয়াখালী নৌবন্দরের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান।
সন্ধ্যায় নদীবন্দর ঘুরে দেখা যায়, ঢাকাগামী এম ভি সুন্দরবন-১৪ ও এম ভি আওলাদ-৭ পন্টুনে নোঙ্গর করা আছে। টার্মিনালের ছিল শুনশান নিরবতা।
লঞ্চে স্টাফরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। যাত্রী যারা এসেছিলেন তারাও লঞ্চ যাবে না শুনে বিকেলে ফেরত চলে গিয়েছেন।
জানতে চাইলে এম ভি আওলাদ-৭ লঞ্চের স্টাফ মমদ মিলন মিয়া বলেন, ঘাটের লঞ্চ প্লেস করার ছিলো কিন্তু যাত্রী স্বল্পতা দেখা দেয়ায় ঢাকার উদ্দেশ্যে আজ লঞ্চ ছাড়া হয়নি।
তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, আগামীকাল ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে যে উত্তাপ রয়েছে মূলত তা এড়াতেই লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে।
একই চিত্র ছিল পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া ও রাঙ্গাবালীর বাহেরচর চরমোন্তাজ লঞ্চঘাটে। এসব জায়গা থেকেও ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।
পটুয়াখালী নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান জানান, মালিকপক্ষ আজ লঞ্চ বন্ধ রেখেছে যাত্রী সংকটের কারণে, তাই ঢাকার উদ্দেশ্যে পটুয়াখালী থেকে কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।
এদিকে, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা যুবলীগ।
জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে জেলা যুবলীগের সভাপতি এডভোকেট শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়ে লঞ্চ ঘাট এসে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, যেকোন মূল্যে রাজপথে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস নৈরাজ্য প্রতিহত করা হবে।