আজ বায়েজিদ থানা বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদের উদ্যোগে আমিন শিল্পাঞ্চল বার্মা কলোনি জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্কুল প্রাংগনে জাতীয় শোক দিবস ও একুশে আগস্ট স্বরনে আয়োজিত মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় ।
উক্ত মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সদ্য বিদায়ী,চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসন-৩ মহিলা কাউন্সিলর ও কারা পরিদর্শক-চট্টগ্রাম জেলা কারাগার জেসমিন পারভীন জেসী !
আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য তিনি বলেন বাঙালির জীবনে শোকের মাস আগস্ট। এ মাসে জাতির জীবনে বারবার নেমে এসেছে অমানিশা। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে রাতের অন্ধকারে সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু ঘাতকেরা এখানেই থেমে ছিল না।
২০০৪ সালের আরেক আগস্ট, রোদ ঝলমলে বিকেল, আকস্মিক বিস্ফোরণে রক্তের স্রোত বয়ে গেল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে, এই বাংলায়। গ্রেনেড, বিস্ফোরণ, ধোঁয়া, স্প্লিন্টার, আর্তনাদ! নেতা-নেত্রীরা ঘিরে ধরলেন সভানেত্রীকে, রচনা করলেন মানববর্ম।
ভাগ্যের জোরে অল্পের জন্য সেদিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বাঙালির বাতিঘর, আশা ভরসার একমাত্র জায়গা তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে প্রাণ হারান আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২২ নেতা-কর্মী। আহত হয়েছিলেন শতাধিক। যাদের অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি।বি,এন,পি ,জামাত জঙ্গিগোষ্ঠী হরকাতুল জিহাদের গ্রেনেড হামলায় যদি সেদিন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের মূল নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন হওয়ার মতো দুঃসময় এসে যেত—তাহলে বাঙালির জীবনে তা কত ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনত সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না।
অথচ আমরা দেখেছি, ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পক্ষ থেকে এমন অবিশ্বাস্য কথাও প্রচার করা হয়েছিল—আওয়ামী লীগ নিজেরাই জনগণের সহানুভূতি ও সমর্থন পেতে ওই গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। তারা এমনও বক্তব্য প্রচার করেছিল যে, গ্রেনেড হামলা এমনভাবে করা হয়েছে যেন শেখ হাসিনা বেঁচে যান এবং জোট সরকারকে একটি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা যায়। নিঃসন্দেহে এ ধরনের যুক্তি খুবই ন্যাক্কারজনক।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের এই মেয়াদেই বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ৭৫ এর খুনিদের মতো ২১ শে আগস্ট খুনিদেরও বিচারের রায় কার্যকর করা হবে।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পাঁচলাইশ থানা আওয়ামীলীগ নেতা রফিউল হায়দার চৌধুরী রফি ,বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নুরু ,পাঁচলাইশ থানা আওয়ামী লীগ নেতা এস,এম খালেদ বাবলু,যুবলীগ নেতা এম এ হাকিম,এস এম আকরাম,নাঈম হাসান।
দৈনিক অপরাজিত বাংলা