ব্রিটিশ রাজ সিংহাসন সামলাবেন রাজা তৃতীয় চার্লস। আর কুইন অব কনসোর্টের খেতাব পেয়েছেন ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলা রোজম্যারি শ্যান্ড। সরাসরি রানির খেতাব না মিললেও প্রথা অনুযায়ী চার্লসের রাজ্যাভিষেকের দিন তার মাথায় উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত হীরা কোহিনূর খচিত রাজমুকুট।
কোহিনূর হীরা। নানা কারণে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত হীরা খচিত রয়েছে ব্রিটিশ রানির রাজ মুকুটে। যার ওজন ১০৫ ক্যারেট।
কোহিনূরের জন্ম নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। অনেকেই বলেন, ত্রয়োদশ শতকে ভারতের কোল্লুর খনি থেকে এসেছে হীরাটি। আবার কেউ বলেন, কোহিনূর নাকি কৃষ্ণকে নিয়ে রচিত ভগবদ পুরাণের সেই সিমন্তক মণি। আর তাই কোহিনূরের আসল জন্মস্থান কোনটা তা নিয়ে নিশ্চিত করে বলা প্রায় অসম্ভব। এ কারনেই এতো বেশি রহস্যময় এই হীরা। তবে যে সময়েই পাওয়া যাক না কেন, হাত বদল হয়েছে বহুবার। কখনো ইরানী যোদ্ধাদের হাত, কখনো মুঘল দরবারে, কখনো আবার আফগান শাসক বা পাঞ্জাবের মহারাজাদের শোভা বাড়িয়েছে এই হীরা।
মুঘল আমলের অমুল্য ময়ূরসিংহাসনের অংশ ছিল কোহিনূর। ১৮৪৯ সালে ব্রিটিশদের হাতে পাঞ্জাবের পতন হলে কোহিনূরকে রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে উপহারস্বরূপ পাঠানোর উদ্যোগ নেন তৎকালীন ভারতের গভর্নর-জেনারেল লর্ড ডালহৌসি। যা পরবর্তিতে স্থান পায় রাজ মুকুটে। এছাড়াও সোনা, রূপা ও প্লাটিনামে তৈরি এই মুকুটের ওপর খচিত আছে ২ হাজার ৮৬৭টি হীরা, ২৭৩ টি মুক্তা, ১৭ টি নিলা, ১১ টি পান্না ও ৫ টি রুবি।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আগে এই মুকুট পড়তেন তার মা। টাওয়ার অব লন্ডনে রাখা হয় এই মুকুট। চলতি বছরের শুরুতেই রানি এলিজাবেথ ঘোষণা করেছিলেন, ‘কুইন কনসর্ট’ হবেন প্রিন্স চার্লসের স্ত্রী, ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলা। সেই সুবাদে কোহিনূর খচিত মুকুটটিও হতে যাচ্ছে তার।
নিয়ম নীতি অনুযায়ী সেইন্ট জেমস প্যালেসে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা হিসেবে ঘোষণা করা হয় কিং চার্লস দ্য থার্ডের নাম। করোনেশন বা শাসক হিসেবে রাজা তৃতীয় চার্লস যেদিন সিংহাসনে বসবেন সেদিন রানি ক্যামিলার মাথায় উঠবে কোহিনূর খচিত মুকুট।