ভারতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের তীব্রতায় মাত্র ১১ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ মানুষ। উদ্বেগের বিষয় হল আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। দেশে গতবছর অক্টোবরের পরে এবার সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
রাজধানী দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের ঘটনা বেড়ে চলায় সমস্ত স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রকাশ, আজ (শুক্রবার) দেশে করোনার ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৬৮টি নয়া সংক্রমণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মোট সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ৫৪২ জনে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে আরও ৭৮০ জনের মৃত্যুর পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪২ জনে। দেশে বর্তমানে ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৮ জন সক্রিয় করোনা রোগী হাসপাতাল অথবা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। চলতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি সবচেয়ে কম ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৬ জন সক্রিয় করোনা রোগী ছিলেন। এ পর্যন্ত দেশে এক কোটি ১৯ লাখ ১৩ হাজার ২৯২ জন সুস্থ হয়েছেন।
গত ৩০ মার্চ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৬ হাজার ২১১। মৃতের সংখ্যা ছিল ২৭১। এরপরে ধাপে ধাপে ওই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে আজ ৯ এপ্রিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৬৮ টি নয়া সংক্রমণ এবং ৭৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যে দিল্লির ‘এইমস’ হাসপাতালে এক সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসকসহ ৩২ জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের ৩৭ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ৩২ জন হোম আইসোলেশনে থাকলেও অন্যদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
