ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্ক ।
সোমবার স্থানীয় সময়, ভোররাত ৪ টা ১৭ মিনিটে প্রথমবার কেঁপে ওঠে তুরস্ক।
ওইসময় গভীর নিদ্রায় ছিল তুরস্কবাসী।
ভূমিকম্পের জেরে নিমেষে ধুলোয় মিশে যায় একের পর এক বহুতল। ভূমিকম্পের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে তুরস্ক থেকে সিরিয়া পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
আহতের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। এই ভূমিকম্পের জেরে একাধিক মানুষ নিখোঁজ ও বেড়েই চলছে মৃত্যুর সংখ্যা ।
এই তালিকায় সোমবার রাত অবধি ছিলেন চেলসি এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্য়াসল ইউনাইটেডের ক্রিশ্চিয়ান আৎসু।
যদিও তাঁকে বহুতলের ধ্বংসস্তূপ থেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এ বার নিখোঁজের পর মৃতদের সেই দীর্ঘ তালিকায় নাম উঠলো তুরস্ক জাতীয় দলের গোলরক্ষক আহমেত এইয়ুপ তুরকাসলানের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব ইয়েনি মালাতিয়াস্পোর।
তীব্র ভূমিকম্পের কারণে তুরস্কের একাধিক জায়গা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে গিয়েছে। রিখটার স্কেলে তুরস্কে হওয়া ভূমিকম্পের তীব্রতা ধরা পড়েছে ৭.৮।
ক্লাবটি অফিশিয়াল টুইটারে এক শোক বার্তায় লিখেছে, আমাদের গোলরক্ষক আহমেত ইয়ুপ তুরকাসলান ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন। শান্তিতে থাকবেন।
আপনার মতো ভালো মানুষকে আমরা কখনো ভুলব না। তুরকাসলানের মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছেন ইয়ানিক বোলাসি।
বোলাসি টুইট করেছেন, ‘শান্তিতে থেকো ভাই ইয়ুপ আহমেত তুরকাসলান।
এক মুহূর্তের জন্য ডাগআউটে তুমি কাউকে দেখতে পাচ্ছিলে, পরের মুহূর্তে তুমি আর পাচ্ছো না।
তার পরিবার ও ইয়েনি মালাতিয়াস্পোর সতীর্থদের প্রতি জানাই সমবেদনা।
শুনে খুবই খারাপ লাগছে। আশা করি, আমরা সবার বিপদে এগিয়ে আসতে পারব।’
২৮ বছর বয়সী আহমেত ইয়ুপ তুরকাসলান ২০২১ সালে যোগদানের পর তুর্কি দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব ইয়েনি মালাতিয়াস্পোরের হয়ে ছয় বার খেলেছেন।
ক্লাবটির জার্সি গায়ে ছয় বার গোলপোস্ট সামলাতে মাঠে নামেন এই গোলরক্ষক।
আহমেত ইয়ুপের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশটির ফুটবল অঙ্গনে।