এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যক্তিগত চেম্বারের ম্যানহোল থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মুখমণ্ডল ও মাথায় রক্ত ছিল।
৬১ বছর বয়সী নিহত ব্যক্তির নাম নয়নাল উদ্দীন। বাবা মৃত আ. জব্বার ও মা হরেজান বেওয়া। তার বাড়ি পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামে। তিনি আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে হত্যা করে ম্যানহোলে ফেলে রাখা হয়েছে।
এমপির প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা জানান, মরদেহটি পাওয়া গেছে ফারুক চৌধুরীর ব্যক্তিগত রাজনৈতিক চেম্বারের ম্যানহোলে। এর পাশেই ফারুক চৌধুরীর মালিকানাধীন থিম ওমর প্লাজা। তার সীমানা প্রাচীরের ভেতরে এই মরদেহটি পাওয়া গেছে।
কর্মচারীরা জানান, এখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। ওমর ফারুক চৌধুরী তার ব্যক্তিগত এই রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি যতক্ষণ অফিসে বসেন ততক্ষণ এর প্রবেশ পথ খোলা থাকে। যখন চলে যান তখনই পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দলের লোকজনের বাইরে এখানে কেউ ঢুকতে পারে না। সোমবার রাতেও এই কার্যালয়ে বসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন ফারুক চৌধুরী।
কর্মচারীরা আরও জানান, তারা মরদেহটি দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ময়নাতদন্ত করতে মরদেহ নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে এমপি ফারুক চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী নগর পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।