লোহিত সাগরে একটি মার্কিন রণতরীর পাশাপাশি কয়েকটি মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।
এসব হামলাকে গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের নির্দয় গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় বৃহত্তর পরিসরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
পেন্টাগন গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা লোহিত সাগরে আমাদের রণতরী ইউএসএস কারনি এবং একাধিক বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার খবর পেয়েছি এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য হাতে এলে তা জানিয়ে দেব।”
পেন্টাগন বলেছে, মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস কারনি গত সপ্তাহে লোহিত সাগরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার শিকার হয়। তবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো জাহাজে আঘাত হানার আগেই সেগুলোকে গুলি করে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। রোববারই মার্কিন ডেস্ট্রয়ার হামলা হয়েছে কিনা বা এ হামলার উৎস কি ছিল সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি পেন্টাগন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর এমন সময় তাদের জাহাজে হামলার খবর দিল যখন ইয়েমেনের সেনাবাহিনী লোহিত সাগরে দু’টি ইসরাইলি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়ি বলেছেন, গতকাল (রোববার) সকালে বাব আল-মান্দেব প্রণালিতে ‘ইউনিটি এক্সপ্লোরার’ ও ‘নাম্বার নাইন’ নামক দু’টি ইসরাইলি জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে।
জেনারেল সারিয়ি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা আজ আমেরিকা ও ইহুদিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের মধ্যে আছি এবং গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
পার্সটুডে